হিংসা এবং তাণ্ডবের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গানে কবিতায় প্রতিবাদ বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 23/10/2021   শেষ আপডেট: 23/10/2021 4:04 p.m.
সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট facebook.com/Journal.com.bd

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হল সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট

সমগ্র বাংলাদেশে হিংসার প্রতিবাদে গর্জে উঠল এবারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি কনসার্ট আয়োজন করে সারাদেশে সম্প্রীতি এবং সংহতির আহ্বান জানালেন বাংলাদেশ নিবাসীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুরের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হলো সাম্প্রতিক হিংসা এবং তাণ্ডবের বিরুদ্ধে। শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টে থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত সময় পর্যন্ত অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশের বেশ কিছু নামকরা বাংলা ব্যান্ড। তার সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এবং পুরনো ছাত্রছাত্রীরা সামিল হয়েছিলেন এই প্রতিবাদের অনুষ্ঠানে।

এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল শিরোনামহীন, মেঘদল, শহরতলী, কৃষ্ণপক্ষ, কাল, গানপোকা, গানকবি, সহজিয়া, বাংলা ফাইভ, অবলিক সহ নামকরা বেশ কিছু বাংলা ব্যান্ড। এরা নিজেদের সংগীত পরিবেশন করার মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিল। এছাড়াও কবিতা আবৃত্তি এবং মূকাভিনয়ের মাধ্যমে ঐক্য এবং সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হলো বাংলাদেশে। এই সমগ্র অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ছাত্র তুহিন কান্তি দাস। তিনি বললেন, "সারা দেশজুড়ে হিংসার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ গড়ে তোলা আমাদের এই কনসার্ট এর মূল উদ্দেশ্য। আমরা চাই দেশের মানুষ হিন্দু মুসলিম পরিচয়ের থেকে বাংলাদেশি পরিচয় নিয়ে পরিচিত হোক।"

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় একটি দুর্গা মন্ডপে অভিযোগ ওঠে, দূর্গা মূর্তির পায়ের তলায় নাকি পবিত্র কুরান রাখা ছিল। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই চট্টগ্রাম, নোয়াখালী এবং রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মন্দির ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি ইসকনের মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর চালানো হয়েছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং দোকানে। এটাকে পরিকল্পিত হামলা এবং চক্রান্ত বলে ব্যাখ্যা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতের সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক নষ্ট করতে এরকম ঘটনা ঘটানো হচ্ছে অত্যন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে। পরবর্তীতে, হিংসার ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার এই ঘটনায় অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রের খবর। অন্যদিকে এই ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িয়ে আছেন তা জানতে, তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।