তালিবানকে অভিনন্দন, কাশ্মীরকে 'ইসলাম শত্রু' মুক্ত করার ডাক আল-কায়দার

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 01/09/2021   শেষ আপডেট: 01/09/2021 2:55 p.m.

আল-কায়দার এই চাঞ্চল্যকর বিবৃতিতে চিন্তায় গোয়েন্দা মহল

আমেরিকার (America) সেনা প্রত্যাহারের পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। তালিবানের (Taliban) 'ছদ্মবেশি' রূপ প্রকাশ্যে আসতেই প্রকট হয়ে উঠছে কাশ্মীর সংকট। দোহা শান্তি চুক্তিতে আল-কায়দার সঙ্গে সম্পর্কচ্যূতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান, কিন্তু বাস্তবে আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরই আল-কায়দা ও তালিবানের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। আফগানিস্তানে তালিবানদের শাসন কায়েম হওয়ার পরই 'ইসলামের শত্রুদের' হাত থেকে কাশ্মীরকে (Kashmir) মুক্ত করতে আহ্বান জানিয়েছে আল-কায়দা। এই জেহাদি সংগঠনের এমন মন্তব্যে রীতিমতো চাপানউতোর তৈরি হয়েছে নয়া দিল্লির গোয়েন্দা মহলে।

নির্ধারিত সময়ের আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে আমেরিকা। এরপরই আফগানিস্তানে তালিবানদের বিজয় উল্লাস শুরু হয়ে যায়। আর জেহাদি সংগঠন আল-কায়দার পক্ষ থেকে তালিবানদের অভিনন্দন জানানো হয়। এক বিবৃতি মারফত আল-কায়দা জানিয়েছে, "লেভান্ত, সোমালিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীর ও সমস্ত মুসলিম স্থানগুলি ইসলামের শত্রুদের হাত থেকে মুক্ত করো। হে আল্লা, বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিম বন্দিদের মুক্তি দাও।" আল-কায়দার এই বিবৃতির পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ব জুড়ে। আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক একাংশের দাবি, এই ঘটনায় কাশ্মীরে সন্ত্রাস প্রক্রিয়া আরও বাড়ার আশঙ্কা। আল-কায়দার পাশাপাশি অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলিও ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে বলে গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর।

অন্যদিকে, আফগানিস্তানে তালিবানি উত্থানে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এরফলে গোটা বিশ্বে ইসলামি উগ্রপন্থা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও করেছেন অনেকেই। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাফ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ফের আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালাবে আমেরিকা। তালিবানদের মুখের কথা নয়, তাদের পরবর্তী কার্যকলাপের উপর নির্ভর করবে আমেরিকার আগামীর অবস্থান। এদিন তিনি আরও বলেছেন, "এটা নতুন পৃথিবী। সন্ত্রাসবাদের হুমকি আফগানিস্তানের বাইরে গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা সোমালিয়ার আল-শাবাবের হুমকির মুখোমুখি, সিরিয়া থেকে আল-কায়দার হুমকি আসছে। এমনকী সিরিয়া ও ইরাকে আইসিসদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। এশিয়া ও আফ্রিকা জুড়ে সন্ত্রাসবাদের কার্যকলাপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে।" সব মিলিয়ে কাশ্মীর বিষয়ে আল-কায়দার এই মন্তব্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে নয়া দিল্লির সাউথ ব্লকে।