রসায়নে নোবেল পেলেন দুই গবেষিকা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 08/10/2020   শেষ আপডেট: 08/10/2020 4:55 p.m.
নোবেলজয়ী জেনিফার দৌদনা (বাঁ দিকে) ও এমান্যুয়েল শার্পেন্টার ছবি সৌজন্যে - CNN news

তাঁদের আবিষ্কারে এবার হয়তো দূর হবে বংশগত রোগ ও ত্রুটি

রসায়নে এবার যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেলেন মার্কিন বায়োকেমিস্ট জেনিফার এ ডৌডনা এবং ফরাসি মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইমানুয়েলে শার্পেন্টিয়ার। জিন সম্পাদনা করার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য নোবেল দেওয়া হল তাঁদের।

এঁরা তৈরি করেছেন জিন কাটাছেঁড়া করার অত্যন্ত উন্নত ও নিখুঁত কাঁচি। এই কাঁচি ব্যবহার করে, জিন যা দিয়ে তৈরি, সেই ডিএনএ-র কিছু অংশ কেটে ফেলা যাবে। নতুন অংশ জুড়ে নিখুঁতভাবে পাল্টে দেয়া যাবে ডিএনএ-র গঠন। অর্থাৎ পাল্টানো যাবে খোদ জীবনের সংকেতকেই। কারণ এই ডিএনএ-র মধ্যে থাকা তথ্যই নিয়ন্ত্রণ করে জীবের জৈবনিক সমস্ত কিছুকে। সেই তথ্য পাল্টে দিয়ে পাল্টানো যাবে জীবের গঠন থেকে শুরু করে তার সমস্ত জৈবিক কার্যকলাপ। মলিকিউলার বায়োলজি জগতে বিপ্লব আনা এই আবিষ্কার শুধু নতুন ধরনের শস্য উৎপাদনে সাহায্য করবে তাই নয়, ক্যান্সার চিকিৎসার নয়া দিগন্ত খুলে দেবে।

এবার হয়তো পূরণ হতে চলেছে বংশগত রোগ বা ত্রুটি থেকে মানুষকে মুক্ত করার বিজ্ঞানীদের বহুদিনের স্বপ্নও। জেনিফার এ ডৌডনা কাজ করেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। দ্বিতীয় জন বার্লিনের ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইউনিট ফর সায়েন্স অফ প্যাথোজেন্স-এর ডাইরেক্টর।

নোবেলের ইতিহাসে এই প্রথম রসায়নে যৌথভাবে পুরস্কার পেলেন দুই মহিলা গবেষক। মেয়েদের জন্য এটি অত্যন্ত আনন্দের খবর। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শার্পেন্টিয়ারের কথাতেও ফুটে উঠেছে সেই সুর। বলেছেন, তরুণী মেয়েরা যারা বিজ্ঞানের পথে হাঁটতে চায়, এই পুরস্কার নিশ্চয়ই তাদের প্রেরণা জোগাবে। প্রমাণ করবে, মেয়েরাও নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে বিজ্ঞানের জগতে প্রভাব ফেলতে পারে।