'মহারাজ' এর মতো আপনারও 'রক্ষাকবচ' হোক করলার রস, পান করুন নিয়মিত

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 07/06/2022   শেষ আপডেট: 07/06/2022 10:32 a.m.
unsplash.com

খেতে তেঁতো হলেও, উপকারের জন্য হতে পারে আপনার কাছের বন্ধু, জেনে নিন করলার গুণাগুণ

করলা, ভোজনরসিক বেশিরভাগ বাঙালির অপ্রিয় তালিকায় এই খাদ্যটির একাই ক্ষমতা রাজ করবার। কিন্তু জানেন কি, এই তেঁতো, আপনার অপছন্দের খাদ্যটিই হয়ে উঠতে পারে আপনার 'রক্ষাকবচ'! স্বয়ং বাঙালির 'দাদা' সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) নিয়মিত সকালে উঠে এক গ্লাস করলার সরবত পান করে থাকেন। তাঁর জনপ্রিয় বিনোদন অনুষ্ঠান 'দাদাগিরি'তে তাঁকে তাঁর চির যৌবন অবতার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তাঁর রহস্য উন্মোচন করেন। বলেন, করলার রসই হল তাঁর প্রাত্যহিক জীবন যাপনের জাদুকাঠি। প্রসঙ্গত, করলার রস হৃদরোগ উপসম করতে সক্ষম। সৌরভ বছর খানেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তারপর থেকেই তিনি তাঁর খাদ্যতালিকাকে করেছেন সংযমী। বাইরের খাবার, মাংস, মিষ্টি আর তিনি খাদ্যতালিকায় রাখেননা। করলার রস দিয়েই শুরু হয় তাঁর প্রাত্যহিক দিন যাপন। এই করলার রসের গুণ সম্পর্কে শুনলে আপনারও চমক লাগবেই লাগবে। খেতে যে এত তিক্ত, তারও উপকারিতা আপনাকেও প্রভাবিত করবে। ডায়াবেটিস, হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ এবং হজমশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন করলার রস পান করতে পারেন। পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং বেশ কিছু ঔষধি গুণের মতো পুষ্টিগুণে ভরপুর করলা, অবশ্যই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ক্রুসিফেরাস (cruciferous) পরিবারের এই তেঁতো সদস্য আপনি যতই অপছন্দ করুন, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, এবং ফাইবারের মত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বলে আপনার শরীরে সংঘটিত হওয়া যেকোন অস্বাভাবিকতাকে উপশম করবে। চর্মরোগ, প্রদাহ, কাশি, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতির মত রোগকে কুপোকাত করতে, এই তেঁতো বন্ধুটির জুড়ি মেলা ভার!

ভারতে বিভিন্ন মানুষ করলার বিভিন্ন উপকরণ খান। কেউ পেঁয়াজ বা শুকনো মশলার সহযোগে, কেউ তরকারি করে, আবার অনেকেই করলার রস করে পান করতে পছন্দ করেন।

করলার রসের উপকারিতাগুলি হল -

১) ক্যান্সার প্রতিরোধ - করলায় অ্যান্টিকার্সেনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অনেক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সাইটোটক্সিক এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। করলা স্তন ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে সক্ষম। তাই নিয়মিত খাদ্য-তালিকায় করলাকে দোসর করলে, আপনারই উপকার।

২) মধুমেহ নিয়ন্ত্রণ - রক্তে শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ সক্ষম করলা। আর শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হলে দস্যু ডায়াবেটিসও আপনাকে ছুঁতে পারবে না। তাই নিয়মিত করলা গ্রহণ করলে আপনি ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত হবেন।

৩) ওজন হ্রাস - ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য এটি শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ করে। তার ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকেনা।

সতর্কতা - করলায় অত্যধিক ফাইবার থাকার দরুন তা পেটের ব্যাধিও ঘটানোর জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মত নির্দিষ্ট পরিমাণে করলা গ্রহণ করলে আপনাকে বিপদের মুখে পড়তে হবেনা। করলা কতটা পরিমাণে গ্রহণ করবেন, সেদিকে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।