"দুর্নীতিতে কেউ কম যায় না, টিএমসি + সিপিএম = চোরে চোরে মাসতুতো ভাই" দিলীপ ঘোষ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 25/06/2022   শেষ আপডেট: 25/06/2022 11:32 a.m.
https://www.facebook.com/dilipghoshbjp

দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল সিপিএমকে একযোগে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ

নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম গোটা রাজ্য। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, নবম থেকে দ্বাদশ, গ্রুপ ডি, খাদ্য দফতর, বন দফতর এমনকী ডব্লিউবিসিএস-সহ একাধিক নিয়োগে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল-সিপিএমকে একযোগে তুলোধোনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলেন নতুন সমীকরণ। টিএমসি + সিপিএম = চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে তৃণমূল চাকরি দিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী তো জলজ্যান্ত উদাহরণ। সেই সঙ্গে ২০১০ সালে সিপিএমের জমানায় খাদ্য দফতরের ৬১৪ চাকরি যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষের তোপ, 'দুর্নীতিতে কেউ কম যায় না'। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসছে। অনেকে মেল করছেন। আমার কাছে পুরো তালিকা আছে।

এক ফেসবুক পোস্টে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, বামফ্রন্ট আমলে ২০১০ সালে খাদ্য দফতরে ৬১৪ জনের চাকরি গেল। বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়ায় তৃণমূলের আমলে প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি গেছে। এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগে ৫৭৩ জনের চাকরি গেছে। এরপর দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, "দুর্নীতিতে কেউ কম যায় না। এখন এই দুর্নীতিগ্রস্ত দল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে, তা সে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হোক বা মোদী বিরোধিতা। দু'জনের গলার একই সুর!"

সম্প্রতি বাম আমলে ২০১০ সালে খাদ্য দফতরে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। চাকরি বাতিলের প্রস্তাবে শিলমোহর পড়েছে ৬১৪ জনের। সেই সঙ্গে তৃণমূল জমানায় প্রাথমিক থেকে সমস্ত নিয়োগে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। নাম জড়িয়েছে শাসক দলের একাধিক নেতা-নেত্রীর। খোদ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নাম জড়িয়েছে তাতে। আর বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নিশানায় "টিএমসি + সিপিএম = চোরে চোরে মাসতুতো ভাই"।