মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আপস করা যাবে না : নির্বাচন কমিশন

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 11/03/2021   শেষ আপডেট: 12/03/2021 6:02 a.m.
হাসপাতালে প্লাস্টার করা অবস্থায় শয্যাশায়ী মমতা ~Facebook@AbhishekBanerjee

ইতিমধ্যেই গতকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগে দায়ের করেছেন মমতার ইলেকশন এজেন্ট সেখ সুফিয়ান

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন (WB assembly election 2021) একেবারেই দোরগোড়ায়। আর বলাবাহুল্য, বিধানসভার একেবারে উল্লেখযোগ্য ভোটকেন্দ্র নন্দীগ্রাম। কারণ, সেই কেন্দ্রের প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তবে গতকাল নন্দীগ্রাম গিয়ে গুরুতর ভাবে আহত হতেই, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও নবনিযুক্ত এডিজি(আইনশৃঙ্খলা) স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, "প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক হোন। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করা যাবে না।"

তাঁদের স্পষ্ট নির্দেশ, 'নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য যা করা প্রয়োজন, তা করবেন'। ইতিমধ্যেই গতকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগে দায়ের করেছেন মমতার ইলেকশন এজেন্ট সেখ সুফিয়ান। কাজেই, ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে তৃণমূলনেত্রী আহত হওয়ার পর ইতিমধ্যেই কমিশনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien) ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর উপরে যে  আঘাত হয়েছে তার পূর্বাভাস ছিল। বিজেপির নেতাদের বক্তব্যে তা স্পষ্ট। তারপরেও ডিজিকে সরানোর পরদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কাল্পনিক চিত্র অঙ্কন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আঘাতকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।" উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রথমে এডিজি(আইনশৃঙ্খলা) ও পরে ডিজিকে (DG) সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। তবে মেলেনি তাঁর কারণ।

এদিকে নন্দীগ্রামে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির দরজা খোলা ছিল। লোহার খুঁটিতে ধাক্কা লেগে সেটি বন্ধ হয়। তার জেরে পায়ে চোট পান তৃণমূল নেত্রী। এই 'দাবি' কাল্পনিক বলে অভিহিত করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি তবু কেন খোঁজ নেননি কেন্দ্র। এই নিয়েও তোপ দেগেছে অনেকেই। একুশের বিষয়ে সৌগত রায় বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের একমাত্র মহিলা নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ ফোন করে খবর নিলেন না! এটা আশ্বর্যের। নিন্দা করছি। মমতার মতো নেত্রীর উপরে আঘাত কীভাবে অবহেলা করা যায়! রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির বিবৃতিও তীব্র ভাষায় নিন্দা করি।"