Partha Arpita: ইডি-র হাতে 'অপা'-র ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, তিন বছরে ৭০০ কোটির লেনদেন

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 07/08/2022   শেষ আপডেট: 07/08/2022 9:45 a.m.
-

অপার জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ

স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দী তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অপা-র জেলবন্দী জীবনের দ্বিতীয় রাত অতিক্রান্ত। এদিকে ইডি-র তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাতে এসেছে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। ২০১৬ থেকে ২০১৯ এই তিনবছরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অন্তত ৭০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। এমনকী গ্রেফতারের দিন কয়েক আগেই জুলাই মাসেই মোটা অঙ্কের লেনদেনের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেই লেনদেনের পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা।

এত টাকার উৎস কী? কোথায় ব্যবহার হত এত টাকা? টাকার উৎস খুঁজতে গিয়ে ইডি সূত্রে খবর, এই টাকা আসত চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে। কেবল এসএসসির নিয়োগ নয়, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি-সহ অন্যান্য নিয়োগের জন্যও টাকা নেওয়া হত। আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে টিকিট বিক্রির বিনিময়েও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক-একটি টিকিট ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

এই বিপুল অর্থ বিভিন্ন ব্যবসার কাজে লাগানো হত বলে খবর। বড় অঙ্কের লেনদেনগুলি পার্থ এবং অর্পিতার জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রেডিট কিংবা ডেবিট হত। অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস, অনন্ত টেক্সফ্যাব, অর্পিতার নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, চারটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ও দু’টি ট্রাস্টির অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী করোনার সময় কোটি কোটি টাকা ট্রানজাকশন হয়েছে, এমনটাই দাবি ইডি-র তরফে।