কলকাতায় নতুন করে হানা দিতে শুরু করলো করোনা, ওমিক্রণ নয় তো?

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 19/12/2021   শেষ আপডেট: 19/12/2021 5:55 a.m.

আফ্রিকা থেকে কলকাতায় আসা বিদেশি ব্যক্তির দেহে নতুন করে করোনাভাইরাস এর সন্ধান মিলেছে বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে

বর্তমানে সারাবিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে রেখেছে করোনাভাইরাস এর নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রণ। ভারতীয় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে তেমন একটা এই ভাইরাস আক্রান্ত মানুষ ছিলেন না। কিন্তু সম্প্রতি খবর পাওয়া গেল নাইজেরিয়া থেকে কলকাতায় আসা এক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, ওই করোনাভাইরাস ওমিক্রণ। যেহেতু ওই ব্যক্তি আফ্রিকার দেশ থেকে এসেছেন তাই চিকিৎসকদের ধারণা ওই ব্যক্তি সাথে করে ওমিক্রন ভাইরাসটি নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির ব্যাপারে খোঁজখবর চালানো হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর বছর ৬৯ এর ওই বৃদ্ধ নাইজেরিয়া থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন। বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে হোটেলে ফিরে যাওয়ার পরেই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন ঐ ব্যক্তি। তারপর এই ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে চান এবং সেখানেই রিপোর্ট ধরা পড়ে পজেটিভ। একেতো তিনি আফ্রিকার দেশ থেকে এসেছেন, তারপর তার দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ, তাই কোন দেরি করতে চায়নি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল।

ওমিক্রণ ভাইরাস সন্দেহে বর্তমানে ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বললেন, ওই ব্যক্তি বর্তমানে সুস্থ আছেন। তার নমুনা কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা করার জন্য। তার সংস্পর্শে যারা যারা ছিলেন তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর চালানো হয়েছে। অন্যদিকে ওই বৃদ্ধ এর জিন পরীক্ষা করার সমস্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। ওই বৃদ্ধর সংস্পর্শে এসেছিলেন তার গাড়িচালক এবং আরও এক ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে বলে খবর। বৃদ্ধের সঙ্গে তার স্ত্রী এর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তবে তার স্ত্রী করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছেন বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।