অনলাইনে 'বান্ধবী' পেয়ে ঘনিষ্ঠতা করতে গিয়ে বিপাকে যুবক, অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার নামে হলো ব্ল্যাকমেইল

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 02/06/2021   শেষ আপডেট: 02/06/2021 10:49 p.m.

জানা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজ থেকে এই বান্ধবীর খোঁজ পান যুবক

আবারো কলকাতার বুকে ভরতপুর গ্যাং এর কার্যকলাপ। এবারে দক্ষিণ কলকাতার পাটুলির এক যুবককে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ এই গ্যাং এর বিরুদ্ধে। যুবকের অভিযোগ, বান্ধবী সেজে তার সাথে কথা বলে তার অশ্লীল চ্যাট এবং ভিডিও আপলোড করে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই গ্যাং। ওই চক্রের সদস্যদের ইতিমধ্যেই ৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন ওই যুবক। কিন্তু তবুও তারা আরো টাকার দাবি জানাতেই ভয় কাটিয়ে পাটুলি থানায় অভিযোগ জানান ওই যুবক। পুলিশের তরফে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই গ্যাং এর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আসতে শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি কয়েকমাস আগে টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীর আপ্ত সহায়ক এই গ্যাং এর পাল্লায় পড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এই ঘটনায় রাজস্থানের ভরতপুর থেকে আয়ুব খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করার পরেও আবারো সক্রিয় হয়েছে এই গ্যাং। পুলিশ জানিয়েছেন, ওই যুবক সোশাল মিডিয়ায় একই চ্যাটের পেজ থেকে ওই মহিলার সঙ্গে পরিচিত হন। তখন কথা বলার জন্য তার থেকে ২,০০০ টাকা দাবি করা হয়। একটি ই ওয়ালেটের মাধ্যমে ওই টাকা পাঠানোর পরে রত্না নাম দিয়ে পরিচিত হওয়া ওই মহিলা তার সাথে ভার্চুয়াল ভাবে ঘনিষ্ঠ হন। দুজনের মধ্যে কিছু অশ্লীল মেসেজ চালাচালি হয়। তারপরে ওই যুবতীর অনুরোধে কিছু টাকা পাঠান ওই যুবক। এরপর আবার সেই যুবককে ফোন করে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে।

তারা জানায় তারা ওই যুবক এবং যুবতীর অশ্লীল চ্যাট রেকর্ড করে নিয়েছে। এবং এই টাকা তাদের না দিলে এই চ্যাট সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। প্রথমে যুবক তাদেরকে ৬,১৫০ টাকা পাঠালেও আবারো শুরু হয় টাকার দাবি। ২৬ মে বেশ কয়েক দফায় তিনি ৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও তাকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করা হয়। কিন্তু তারপরেই ওই যুবক পুলিশের কাছে গিয়ে এই ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, এই ধরনের চ্যাট পুরোপুরি রেকর্ড করা। এরকম কোনো চ্যাট সাধারণ কোনো মহিলা করেন না। কোনো একজন মহিলার অশ্লীল ভিডিও এবং চ্যাট রেকর্ড করে সেই চ্যাট শুধু চালিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই যখন উল্টোদিকে থাকা যুবক তারসঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে, তারপরই তারা শুরু করে ব্ল্যাকমেইল। টাকা দাবি করার জন্য অনেকে নিজেদের সাংবাদিক, আবার অনেকে নিজেদের প্রশাসনিক করত হিসাবেও পরিচয় দেয়। আবারো এই ধরনের গ্যাং এর বাড়বাড়ন্ত দেখে চিন্তিত পুলিশ। তারা বারংবার জানাচ্ছেন, অনলাইন থেকে এরকম কোনো গ্যাং এর পাল্লায় পড়বেন না, যদি তারা পরে টাকা দাবি করেন তাহলেও টাকা না দিয়ে সোজা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।