জনবসতিপূর্ণ সিঁথির রামলীলা ময়দানে ভয়াবহ আগুন

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 17/01/2022   শেষ আপডেট: 17/01/2022 1 p.m.

সিঁথি থানার অন্তর্গত রামলীলা ময়দান, এখানেই দুটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল

সিঁথির রামলীলা বাগানে ভোরবেলা পরপর দুটি বাড়িতে আগুন লাগে, ঘটনাস্থলে দমকল ইতিমধ্যে পৌঁছেছে। আগুন লাগার পর আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। একটি ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে, সেখানে এক ছাত্রের বসতি ছিল, তার বই খাতা সব পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। আরো একটি ঘর, সেটিও ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুটি দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এছাড়া এখানে একটি সারমেয় ছিল সেটির অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলছে।

ঘটনাস্থলে সিঁথি থানার পুলিশ উপস্থিত আছেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা চলছে। এখনো অবধি আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি, তবে পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই বিষয়ে। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে এখনই নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো সম্ভব হয়নি প্রশাসনের তরফে। তবে দমকলের চারটি ইঞ্জিনের ক্রমাগত প্রচেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

সোমবার সকালে উক্ত এলাকার বাসিন্দারা একটি ঘর থেকে ধোঁয়া নির্গত হতে দেখেন। দাহ্যপদার্থ মজুত থাকায় আগুন ছড়িয়ে পরে দ্রুত। স্থানীয় বাসিন্দারাই অগ্নি নির্বাপন এর  কাজ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া সত্ত্বেও তারা পৌঁছাতে অনেক দেরি করে। তবে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। ভস্মীভূত হয়েছে বস্তির বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি। ঝলসে মারা গেছে সারমেয় শাবকগুলি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দমকলের জন্য অপেক্ষা না করে, স্থানীয় যুবকরা তৎপরতার সাথে কাজ করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। বস্তির অনেক পড়ুয়ার বই খাতা পুড়ে গেছে আগুনে। অনেকের বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান," দমকল আর একটু তাড়াতাড়ি এলে হয়তো আরো কিছু ঝুপড়ি বাঁচানো যেত।"

এই পরিস্থিতিতে কিভাবে তারা দিন গুজরান করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না অনেকেই। চারটি দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে এবং বিধ্বংসী আগুনকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সচেষ্ট। সিঁথি থানার পুলিশ সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।