করোনা পরিস্থিতির জন্য কমছে প্রচারের সময়, কড়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 16/04/2021   শেষ আপডেট: 16/04/2021 10:10 p.m.
নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য এই সময় কমিয়ে আনা হয়েছে

১৭ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার রাজ্যে হতে চলেছে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। এরপর রাজ্যে আরও তিন দফার ভোটগ্রহণ বাকি রয়েছে। তার মধ্যেই শুক্রবার নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করলো, এনার থেকে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোনো রকম রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ জাতীয় কোন রকম জনসমাগম করা যাবে না। আজকে অর্থাৎ শুক্রবার রাত থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তার পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বাকি যে তিন দফার ভোটগ্রহণ বাকি আছে সেখানে ভোট প্রচারের শেষ সময় কিন্তু ভোটগ্রহণের ৭২ ঘন্টা আগে শেষ হয়ে যাবে।

পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ আকার ধারণ করছে দিনে দিনে। প্রায় প্রতিদিন হাজারো হাজারো মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘন্টায় এই রাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৯১০ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৮৪৪ জন। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৫৯২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। ফলে বলা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাসের গ্রাফ ধীরে ধীরে উপরে উঠছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নির্বাচন হতে চলেছে। এই জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। তার মধ্যেই আবার শেষ তিন দফা একসাথে করার দাবি উঠেছিল।

নির্বাচন কমিশন সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ঘোষণা করেছে, যেহেতু তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই তাই তারা নিজেদের শিডিউল অনুযায়ী ভোট গ্রহণ করবে। দুপুরে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন এই রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক। তারপরেই দিল্লি থেকে বার্তা আসে, এবারের নির্বাচনে বাকি দফাগুলিতে প্রচারের সময় কমিয়ে আনা হবে। তার পাশাপাশি প্রত্যেক প্রার্থী এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে কঠোরভাবে আদেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা সমস্ত করোনাভাইরাসের বিধি মেনে প্রচার করেন। নির্বাচন কমিশন কড়া বার্তা দিয়েছে, যদি তারা করোনাভাইরাসের বিধি নিষেধ না মেনে চলেন তাহলে কিন্তু ফৌজদারি মামলা হবে তাদের বিরুদ্ধে। প্রত্যেকটি সভায় মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক। তার পাশাপাশি ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। নির্বাচন কমিশন প্রার্থী এবং দলের জন্য যে খরচের সীমা বেঁধে দিয়েছে সেখান থেকেই কিনতে হবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার।