পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘হাঁটতে পারেন না’, পুরভোটের প্রচারে বেরিয়ে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 12/12/2021   শেষ আপডেট: 12/12/2021 3:01 p.m.
twitter @DilipGhoshBJP

‘দিলীপবাবুরা ছোটেন ভালো, তাই পালাচ্ছেনও তাড়াতাড়ি’, পাল্টা পার্থর

শিয়রে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন (KMC election 2021)। আর তার আগে প্রচারের ময়দানে বিপক্ষকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয় শাসক-বিরোধী। একে অপরের উদ্দেশ্যে বাক্যবাণ নিক্ষেপও চলছে সমানতালে। আর এর মাঝেই বেহালা অঞ্চলে বিজেপি (BJP) প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে বর্ষীয়ান তৃণমূল (TMC) নেতা-মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) শরীর নিশানা করে মন্তব্য করে বসলেন সদ্য নির্বাচিত বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

জানা গিয়েছে, রবিবার বেহালার (Behala) ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্যের সমর্থনে ভোটপ্রচারে বের হন দিলীপবাবু। প্রচার চলাকালীন তিনি বলেন, “আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এলাকায় আমি গতকাল থেকে প্রচার করছি”। পাশাপাশি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তাঁর সংযুক্তি, “ওনারা ভাবছে মানুষকে চমকে-ধমকে ভোট করাবেন। কিন্তু তা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা সহ্য করবে না”। এর মাঝে পার্থবাবুর শরীর নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় বিজেপি নেতাকে। তিনি বলেন, “উনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) হাঁটতে পারেন না। তাই উনি কোথাও যেতে পারছেন না”।

এদিন কলকাতা পুরসভায় বিজেপির বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেও যথেষ্ট আশাবাদী শোনায় দিলীপকে। সিপিআইএম এবং তৃণমূল, দুই শাসককেই একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই, কলকাতার সমস্যার সমাধান হোক। সিপিআইএম (CPIM) অনেক বছর চালিয়েছে। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় পনেরো বছর। কিন্তু নুন্যতম সমস্যারও সমাধান এখনও পর্যন্ত হয়নি”। সাথে দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “দেশের বড় বড় কর্পোরেশন বিজেপি চালায়। সেই সব অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তাই আমরা মানুষের সেবা করতে চাই”।

তবে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করলেও খবর বলছে, পুরভোটের প্রচারে একাধিকবারবার বেরিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তাই দিলীপের ‘হাঁটতে না পারা’ কটাক্ষের জবাবে মুখ খুলেছেন তিনিও। দিলীপবাবুর পাল্টা তিনি বলেছেন, “দিলীপবাবুরা ভালো ছোটেন। তাই পালাচ্ছেনও তাড়াতাড়ি। যাঁরা মানুষের সঙ্গে থাকে, মানুষের হয়ে কাজ করে, তাঁরাই ৫২ হাজার ভোটে জেতে”। দুই মহারথীর কথার দ্বৈরথের মাঝখানে এককথায় বলাই যায়, আসন্ন পুরভোটের আগেই উত্তেজনা সপ্তমে।