বেলা গড়িয়ে দুপুর, ভবানীপুরে ভোট শতাংশের হার অত্যন্ত কম, টুইটের পর টুইট

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 30/09/2021   শেষ আপডেট: 30/09/2021 12:35 p.m.
টক্কর -

সৌজন্য : সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে চায়ে পে চর্চায় ফিরহাদ হাকিম

সকাল গড়িয়ে বেলার দিকে। তাও ভবানীপুরের উপনির্বাচনে (Bhwanipur By-poll) ভোট শতাংশের হার অত্যন্ত কম। সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় লাইন থাকলেও শতাংশের বিচারে অন্য দুই কেন্দ্রের তুলনায় বেশ পিছিয়ে ভবানীপুর। সকাল ১১ টার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ভবানীপুরে ভোটের হার ২১.৭৩ শতাংশ। সেখানে অন্য দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জে যথাক্রমে ভোট পড়েছে ৩৬.১১ শতাংশ এবং ৪০.২৩ শতাংশ। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে ভবানীপুরবাসীর ভোটে এত অনীহা কেন? নাকি এই নির্বাচন লড়াইয়ে সামিল হতে অনেকেই ইচ্ছুক নয়? সে উত্তর ভোট শেষে শতাংশের বিচারে বিবেচ্য।

ভবানীপুরের ভোটের হার তুলনায় কম। সকালেই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল মন্তব্য করেছিলেন, যত বেশি ভোট পড়বে ততই ভাল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভবানীপুরের মানুষের ভোটে অনীহা! এই অনীহা দূরীকরণে আসরে নেমেছেন কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক তথা পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি এক টুইট বার্তায় সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ভবানীপুরবাসীদের কাছে ভোটাধিকার প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "উন্নয়নের জন্য, সমতার জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।" এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের আর এক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও এক টুইট বার্তায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। মন্ত্রী যতই আবেদন করুক না কেন সাধারণ মানুষের প্রকৃত মনোভাব ভিন্নতর। অন্তত সকাল দশটা পর্যন্ত ভোট শতাংশের হার দেখেই তো তাই বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।

অন্যদিকে আর একদল বলছেন, গত কয়েক দিনে টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা গোটা কলকাতার। রোদ বেরিয়েছে। রাস্তাঘাট ঠিক হলেই বেরিয়ে পড়বেন মানুষ। বাঙালি রাজনীতি সচেতন, ভোটাধিকার প্রয়োগ তো করবেই। অবশ্য জেলার আর দুই কেন্দ্রের চিত্র কিন্তু ভিন্নতর। সেখানে সকাল থেকে শতাংশের হারে ভোট পড়েছে উল্লেখযোগ্য। যদিও সে দুই কেন্দ্রে আগে নির্বাচন হয়নি বলে মানুষের উৎসাহ বেশি বলছেন একাংশ। এখানেই একদল প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে কি ভবানীপুরের মানুষ বারবার নির্বাচনে তিতিবিরক্ত? এ উত্তর সন্ধ্যায় ভোট শতাংশের হার দেখে বোঝা সম্ভব বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।

নির্বাচন চললেও বিভিন্ন দলের মধ্যে দেখা গেল সৌজন্য সাক্ষাৎ। এমনকী চলল 'চায়ে পে আড্ডা'। সিপিএমের ক্যাম্পে বসে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দেখা গেল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। নিজেই জানালেন, এখানে কোন রাজনীতি নেই। নিজেদের পাড়ার বিষয়। সবাই তো বন্ধু। এমনকী সিপিএমের কর্মী সমর্থকরাও জানালেন তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের কথা! সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবারের ভবানীপুরের নির্বাচন সরগরম। খালি সরগরম হলে কি চলে? ভোট তো পড়ছে তুলনায় কম! তাই বাড়তি চাপ তো থাকবেই, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।