দেড় বছর হাসপাতালের মর্গে পড়ে দিদি, দেহ নিতে অস্বীকার ভাইয়ের, কারণ জানলে অবাক হবেন

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 05/09/2022   শেষ আপডেট: 05/09/2022 8:35 a.m.

করোনার সুযোগে অঙ্গ পাচারের ছক, হাইকোর্টের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষা

গত দেড় বছর ধরে তিনি বলে আসছেন হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা মৃতদেহ তাঁর দিদির নয়। হাসপাতালে থাকা মৃতদেহের পরিচয় ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেই মৃতদেহ নিতে ভাই অস্বীকার করছেই-বা কেন? এর পেছনে কি কোন বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে মর্গে থাকা সেই মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করে সব সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিল।

ঠিক কী এমন ঘটেছিল? ঘটনাটি বছর দেড়েক আগে। যখন রাজ্যে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত চলছিল। উত্তর ২৪ পরগণার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা জয়দীপ দাস। তাঁর দিদি কাকলি সরকার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। দিন কয়েক পরে সেই নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয় তাঁর দিদির মৃত্যু হয়েছে। তিনি করোনা পজিটিভ থাকায় তাঁর দেহ হাতে তুলে দেওয়া হবে না। দেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সাগর দত্ত হাসপাতালে।

কী কারণে এমন বিতর্ক? জয়দীপ দাস বলেছেন, তাঁর দিদি নাকি মৃত্যুর আগে বলেছিলেন এই নার্সিংহোমটি বেআইনি অঙ্গ পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি থানায় দ্বারস্থ হন। সেখানে উপযুক্ত বিচার না পেয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্ট সেই দেহের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, মৃতদেহের ভেতর সমস্ত অঙ্গ আছে কী না এবং যথাস্থানে আছে কী না খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ছ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট আদালতে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জয়দীপ দাসের অভিযোগ মারাত্মক। করোনার সময় দেহ তুলে দেওয়া হত না পরিবারের হাতে। এমন পরিস্থিতিতে অসাধু উপায়ে অঙ্গ পাচারের ছক চলছিল কী না, বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।