গড়িয়াহাট জোড়া খুন মামলায় আটক পরিচারিকা, পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 20/10/2021   শেষ আপডেট: 20/10/2021 5:47 p.m.
প্রতীকী ছবি @pixabay

গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ

গড়িয়া হাটের কাকুলিয়া রোড এলাকার জোড়া খুনের ঘটনায় ৭২ ঘন্টার মধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় পরিচারিকা এবং আয়ার কাজ করা মিঠু হালদার নামের একজন মহিলাকে ডায়মন্ড হারবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। সুবীর যে সময় কর্মসূত্রে কলকাতার বাইরে থাকতেন তখন তার মায়ের দেখভাল করতেন মিঠু হালদার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের গোয়েন্দারা মনে করছেন, সুবীর এবং রবিন খুনের ঘটনায় মিঠু হালদার এর যোগাযোগ রয়েছে। তার পাশাপাশি মিঠু এবং তার ছেলে ও ছেলের তিন বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।

অন্যদিকে, গোয়েন্দারা মনে করছেন গড়িয়াহাটের ওই বাড়ির বিক্রির প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা নিয়ে আসতেন মিঠুর ছেলে। সম্ভবত বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত কোনো চুক্তি নিয়ে মিঠুর ছেলের সঙ্গে সুবীরের বিবাদ হয়েছিল। সেই কারণেই, মিঠুর ছেলে সুবীরকে খুন করেছে কিনা সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ওই বাড়ির দালালদেরকেও। বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত কোনো গোলমালের সঙ্গে এই জোড়া খুনের ঘটনার কোন আন্তঃসংযোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

অনুসন্ধানের সময় দেখা গিয়েছিল বালিগঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত পুলিশ কুকুর পৌঁছে গেছে। এই দেখেই গোয়েন্দারা সন্দেহ করেছেন, সম্ভাবনা রয়েছে আততায়ী বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পালিয়েছে। সেই মর্মে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মিঠু হালদার নিজেও শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা দিয়ে দৈনিক যাতায়াত করে থাকেন। এই কারণেই মিঠু হালদার আরো বেশি করে পুলিশের নজরে রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অপরাধে মিঠু হালদারের পুরনো রেকর্ড রয়েছে। এই কারণেই লালবাজারের তরফ থেকে ওই মহিলাকে ডায়মন্ড হারবার থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।