কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান ১০ মাস হলে অ্যান্টিবডির পরিমাণ হবে সর্বাধিক: রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 29/06/2021   শেষ আপডেট: 28/06/2021 11:47 p.m.
By Agência Brasília - https://www.flickr.com/photos/64586261@N02/50869701263/, CC BY 2.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=99227217

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রিসার্চে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

অস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন কোভি শিল্ড এর দুটি ডোজ যদি আপনি ৪৪-৪৫ সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রহণ করেন তাহলে আপনার দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ সবথেকে বেশি হবে। সোমবার এই ব্রিটিশ ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা এমনটাই দাবি করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের করা একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে, যদি আপনি ১০ মাসের ব্যবধানে এই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ গ্রহণ করেন তাহলে আপনার দেহে অ্যান্টিবডি এক বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। আর তার সঙ্গে যদি আপনি একটি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আরো বেশি পরিমাণ অ্যান্টিবডি আপনার দেহে গঠিত হবে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। যদি আপনি এই বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন দ্বিতীয় ডোজের পরে, তাহলে আপনার শরীরের অনাক্রম্যতা শক্তি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছে এই ব্রিটিশ ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পাবলিশ করা একটি রিসার্চ পেপারে বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে।

এমনিতেই বেশ কিছু দেশে ভ্যাকসিন সাপ্লাই এতটা কমে গেছে, যে সকলের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারই মধ্যে বেশকিছু দেশের সরকার দুটি ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়াও বহু দেশের সরকার চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বুস্টার ডোজ দেওয়া যায় তাঁদের নাগরিকদের। করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ আসন্ন ভারতসহ বেশ কিছু দেশে। ভারতেও মোদি সরকার ঘোষণা করেছিল ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে রাখা যেতে পারে দুটি ডোজের মধ্যে।

কিন্তু তার মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রিসার্চ। তারা জানাচ্ছেন, "বেশ কিছু দেশে বর্তমানে ভ্যাক্সিনেশন কম হচ্ছে এবং সেখানে ভ্যাকসিনের সাপ্লাই অনেকটা কম। এই পরিস্থিতিতে ChAdOx1 nCoV-19 এর প্রথম ডোজ গ্রহণ করলেও দ্বিতীয় ডোজ অনেকেই গ্রহণ করেননি। আমরা একটি স্টাডি করে দেখতে পেয়েছি যদি প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধান ৪৪ থেকে ৪৫ সপ্তাহ করা হয় তাহলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পরিমাণ আরো বাড়বে। আর বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা থাকলে তার শরীরে অ্যান্টিবডি পরিমাণ আরো বেশি হবে। যার ফলে একদিকে মানুষের করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা কমবে, অন্যদিকে আবার প্রত্যেকটি দেশে ভালোভাবে ভ্যাকসিন সাপ্লাই করা যাবে।"