পুলিশ অফিসার থেকে সুপার মডেল, সিকিমের একশা এখন মেয়েদের অনুপ্রেরণা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 16/09/2021   শেষ আপডেট: 16/09/2021 11:35 p.m.
একশা instagram.com/ekshakerungofficial

পুলিশ অফিসার এবং সুপার মডেল হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন বক্সার এবং বাইক রাইডার

বর্তমানে যেকোনো কাজে মহিলাদের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি, জানান দিচ্ছে, মহিলারা আর কিন্তু পিছিয়ে নেই। তারাও পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মহিলাদের দেখা যায় না। যেকোনো পাবলিক সেক্টর অফিস হোক, কিংবা পুলিশ, সব জায়গাতেই মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু আজকে এমন একজন মহিলার কথা আপনাদের জানাতে চলেছি, যিনি একাধারে একজন সুপার মডেল এবং সাথেই তিনি একজন পুলিশ অফিসার। কথা হচ্ছে সিকিমের একশা হাঙ্গ সুব্বা ওরফে একশা কেরুঙকে নিয়ে। তবে পুলিশ এবং সুপার মডেল ছাড়াও তাঁর আরও কিছু পরিচয় রয়েছে। তিনি নিজে একজন বক্সার এবং তিনি একজন প্রফেশনাল বাইকার। একশা এমটিভি সুপার মডেল অফ দ্যা ইয়ার সিজন ২ এর টপ ৯ এর একজন প্রতিযোগিনী।

জানা যায়, ২০১৯ সাল থেকে তিনি সিকিম পুলিশের সঙ্গে যুক্ত। সিকিম পুলিশের একজন বড় পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার তিনি। তবে মডেলিং এবং গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড তাকে আকর্ষণ করে প্রথম থেকেই। সেই আকর্ষণের জায়গা থেকেই তার সুপার মডেল হওয়ার জার্নি শুরু। এমটিভি সুপার মডেল অফ দা ইয়ার সিজন ২ এর সেরা ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে একজন তিনি।

তিনি যখন পুলিশ অফিসার হিসেবে সিকিম পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৯। পুলিশ অফিসার, বাইকার এবং একজন বক্সার হওয়া সত্বেও একশার এখন প্রধান লক্ষ্য একজন সুপার মডেল হওয়া। তিনি দুনিয়াকে দেখিয়ে দিতে চান, এমন কোন জিনিস নেই যেটা মেয়েরা করতে পারে না। এমটিভি সুপার মডেল অফ দি ইয়ার সিজন ২ এর অডিশন পর্বে তিনি যখন নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন, তখন জনপ্রিয় বলি-অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা তার জন্য দাঁড়িয়ে হাততালিও দিয়েছিলেন।

তিনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও বেশ জনপ্রিয়। ইতিমধ্যেই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ অ্যাক্টিভ। মাঝেমধ্যেই তিনি নিজের বিভিন্ন ছবি তার সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে পোস্ট করে থাকেন। মেয়েদের জন্য তিনি একজন অনুপ্রেরণার থেকে কম কিছু নন। তিনি পদে পদে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রমান করে দিচ্ছেন, এমন কোনো কাজ নেই যেটা মেয়েরা পারেনা।