'বেলাশুরু'র টিকিট পেতে মরিয়া 'পিউ', দোসর 'পলাশ'

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 26/05/2022   শেষ আপডেট: 26/05/2022 9:12 p.m.
youtube.com/watch?v=6GGYRZbxLLo

'টিকিট এজেন্ট'কে কাকুতি মিনতি, শেষ পর্যন্ত 'বেলাশুরু'র টিকিট কি পেলেন এই 'যুগল'?

অন্যান্য শিবপ্রসাদ-নন্দিতা রায়ের জুটির সিনেমা-প্রেমী মানুষের মত, এই 'দম্পতি'ও তাঁদের ছবির প্রতি অনুরক্ত। তাই তো উত্তর কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে 'বেলাশুরু'র (Belashuru) দুটি টিকিট পাওয়ার জন্য 'টিকিট এজেন্ট' এর কাছে জোড় হাত করলেন এই যুগল। তাঁরা তাঁদের পরিচয় দিলেন, 'পিউ' ও 'পলাশ'।

সম্প্রতি কলকাতার নবীনা প্রেক্ষাগৃহে দর্শকমহল সাক্ষী হয়েছেন এই দৃশ্যের। যুগলের মধ্যে 'পিউ' নামের মেয়েটিই উদ্যত হয়েছেন 'যেন তেন প্রকারেণ' ভাবে টিকিট পাওয়ার জন্য। এমনকি প্রেক্ষাগৃহের মাটিতে, বা কোনো কোনায় বসতেও তাঁর আপত্তি নেই। তাঁকে প্রতিনিয়ত সম্মতি দিচ্ছেন তাঁর 'বর' পলাশ। কি ভাবছেন? নামগুলি ভীষণ চেনা? কোথায় যেন শুনেছেন? হয় সদ্য, নাহয় সাতটি বছর আগে! ঠিক পথেই যাচ্ছেন! এই যুগল হলেন, আমাদের সকলের পরিচিত দুই মুখ, মনামী ঘোষ (Monami Ghosh), এবং অনিন্দ্য চ্যাটার্জী (Anindya Chatterjee)। যাঁরা 'বেলাশেষে' (Belaseshe) এবং 'বেলাশুরু'তে (Belashuru) দম্পতির ভূমিকায়। তাঁদের চরিত্রই হলো 'পিউ' এবং 'পলাশ'।

ছবির মুখ্য চরিত্রে থাকা কিংবদন্তী জুটি, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত (Swatilekha Sengupta) এবং সৌমিত্র চ্যাটার্জীর (Soumitra Chatterjee) কনিষ্ঠ কন্যা হিসেবে অভিনয় করেছেন মনামী। 'বেলাশুরু' ছবিতে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখতে অনিন্দ্যর সঙ্গে উপস্থিত হন মনামী প্রেক্ষাগৃহে। সবচেয়ে চমক দিয়েছে, 'টিকিট এজেন্ট' এর ভূমিকায় স্বয়ং পরিচালক, শিবপ্রসাদ মুখার্জীর (Shiboprosad Mukherjee) উপস্থিতি। তাঁর কাছেই 'পিউ' বারবার কাকুতি মিনতি করেছেন ছবির দুটি টিকিটের বন্দোবস্ত করে দেওয়ার জন্য।

আসলে গোটাটাই একটি মজার ছলে আয়োজন করা। 'বেলাশেষে'র পর 'বেলাশুরু' নিয়ে জনতার আবেগ, উৎকণ্ঠা কতটা সক্রিয়, সেই হিসেবেই ছবির অন্যতম দুষ্টু মিষ্টি ' পিউ-পলাশ' এর জুটি নিয়ে হাজির হন খোদ পরিচালক। তাঁদের পেয়ে দর্শকের উন্মাদনা হয় তুঙ্গে। সঙ্গে এই তিনজনের টিকিট নিয়ে করা কৌতুক, প্রেক্ষাগৃহের আমেজকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে।

গত ২০ মে, 'বেলাশেষে'র সাত বছর পর মুক্তি পেয়েছে 'বেলাশুরু'। কয়েকদিনে প্রায় দুকোটির ওপর আয় হয়েছে এই ছবির। আসলে, এই ছবিতে যে আবেগ নিহিত আছে, তা খুব কম ক্ষেত্রেই উপস্থাপিত হয়। সেই আবেগের মূল্য, কখনও শোধ করা যায়না। ছবির মুখ্য চরিত্রে থাকা মানুষ দুটি সশরীরে আর নেই, কিন্তু পর্দা জুড়ে তাঁদের উপস্থিতি, পৃথিবীর সকল লেন-দেনকে ছাপিয়ে যায়। তাঁরা অমর হয়ে থেকে যান আপামর বাঙালির মানস সরোবরে।