৩৪ বছর পর দেশের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে বড়সড় পরিবর্তন! মতামত শুনল সংসদীয় প্যানেল

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 14/01/2021   শেষ আপডেট: 14/01/2021 5:53 p.m.

২০০৫ সাল থেকে স্কুলের পাঠ্যবই নিয়ে কোনও পর্যালোচনা না হওয়ারও জন্যই পাঠ্যবইয়ের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক

দীর্ঘ ৩৪ বছর পর দেশের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে (New Education Policy, 2020) বড়সড় পরিবর্তন এনেছে মোদী সরকার। নয়া শিক্ষা নীতি ঘিরে একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরপরেই জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) চালু হওয়ার পরে স্কুলপাঠ্য পুস্তক তালিকার পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে চেয়েছিল সংসদীয় প্যানেল। 

মূলত, এ বিষয় স্পষ্ট যে ২০০৫ সাল থেকে স্কুলের পাঠ্যবই নিয়ে কোনও পর্যালোচনা না হওয়ারও জন্যই পাঠ্যবইয়ের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। স্কুলপাঠ্য বই সংস্কারের লক্ষ্যে বুধবার বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনল বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংসদীয় প্যানেল।

সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল প্যানেলের সামনে স্কুলপাঠ্য বই সংস্কারের বিষয়ে তাঁদের মতামত জানান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জে এস রাজপুত এবং শংকর শরণ। প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (ICCR) সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধে।  এই সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক সরকারি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বৈঠকে রমেশ পোখরিয়াল একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা বলেছেন। এই টাস্ক ফোর্স শিক্ষা মন্ত্রকের স্কুল শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের মধ্যে নয়া শিক্ষা নীতি রূপায়ণে সমন্বয় করবে। যে সমস্ত পড়ুয়া স্কুল থেকে উচ্চ শিক্ষার আঙিনায় পা রাখছে তাদের নয়া শিক্ষা নীতির ফলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য।"

আরও জানা গিয়েছে, রাজপুত ও শরণ ছাড়া আরএসএস ঘনিষ্ঠ ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডল ও শিক্ষা সংস্কৃতি ন্যাস সংস্থাও বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে।সর্বদলীয় সংসদীয় প্যানেল হওয়ার কারণে পাঠ্যবই সংস্কার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিচিত্র মতামত জানা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বোর্ড পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ের উপরে প্রশ্ন ব্যাঙ্ক।