ভার্চুয়াল শহীদ দিবসে ৫০ লক্ষ্য কর্মীর অংশগ্রহণ চায় তৃণমূল কংগ্রেস, পালন হবে ভিন রাজ্যেও

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 19/07/2021   শেষ আপডেট: 19/07/2021 5:15 p.m.
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় instagram.com/mamataofficial

জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের ঘাঁটি প্রতিষ্ঠিত করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা যাবেন

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বিজেপিকে বিশাল মার্জিনে হারিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) হ্যাটট্রিক করেছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে ঘাসফুল শিবির আগামী ৫ বছরের জন্য বাংলার মসনদে বসেছে। চলতি বছরে জয়ের পর আগামী ২ দিন পর হতে চলেছে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। কিন্তু করোনা (Corona) ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এবার ভার্চুয়ালি জনসমাবেশ হবে। তবে জনসমাবেশ ভার্চুয়ালি হলেও ঢিলেমি দেওয়া চলবে না বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বরং আরও বেশি শক্তিপ্রদর্শনের জন্য তিনি রাজ্যের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও একুশে জুলাইয়ের বক্তৃতা সম্প্রচার করার কথা ঘোষণা করেছেন। জানা গিয়েছে ভার্চুয়াল সমাবেশে তৃণমূল কংগ্রেস রেকর্ড কর্মীর অংশগ্রহণ চাইছে। এই শহীদ সমাবেশে অন্তত ৫০ লাখ কর্মী-সমর্থক উপস্থিত থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে এত কর্মীদের নিয়ে জনসমাবেশ করার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে নিজের দপ্তর থেকে বক্তৃতা দেবেন। অন্যদিকে প্রতিটি বুথে সকাল ১০ টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৫০ জন দলীয় কর্মীকে সমবেত হতে হবে। তারপর প্রত্যেকটি জায়গায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করে শহীদ বেদিতে মাল্যদান করে ১৯৯৩ সালের প্রয়াতদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। সেই কাজ হয়ে যাওয়ার পর দুপুর ২ টোয় বুথে কর্মীদের যেতে হবে। এখানে তারা টিভি বা জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য শুনতে পারবেন। প্রত্যেকটি বুথে শহীদ দিবস পালনের দায়িত্ব বর্তেছে এলাকার বিধায়কদের উপর। প্রতিটি বুথে যাতে শহীদ দিবস পালন হয় তার দিকে কড়া নজর রাখা হবে। এমনকি বুথস্তরে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচির ছবি ও ভিডিও পাঠাতে হবে বিধায়কদের। যে সমস্ত জায়গায় তৃণমূলের বিধায়ক নেই সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা সভাপতি তথা ব্লক সভাপতি।

এবার রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস পালন হবে। এই ঘোষণা করার পর থেকেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মমতার জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করার সমূহ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতে বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরা জয়ের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। আড়ালে থেকে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বাংলার স্ট্যাটিজিকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরাতে ঘাসফুল শিবিরের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। তাই বিধানসভা ভোটের ২০ মাস বাকি থাকতেই মাঠে নেমে পড়েছে পিকের টিম। এমনকি আগামী আগস্ট মাসে ত্রিপুরায় তৃণমূলের কর্মযজ্ঞ শুরু করতে উপস্থিত হবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাই শহীদ দিবসের সমস্ত কর্মসূচি মিটলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে যাবেন। প্রসঙ্গত, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এটাই হবে তাঁর প্রথম ভিন রাজ্য সফর। ত্রিপুরা ছাড়াও তৃণমূল ভবনে প্রতিনিয়ত অন্যান্য রাজ্য যেমন ঝাড়খন্ড, কেরল, তামিলনাড়ু ইত্যাদি রাজ্যের রিপোর্ট আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস মমতা ব্যানার্জির ইমেজকে আর শুধুমাত্র বাংলায় সীমাবদ্ধ করতে চায় না। তাঁরা এবার দলকে সর্বভারতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।