"ছ’টি কবরস্থান এবং ছ’টি দাহকার্যের জায়গা" সহ একাধিক বেড, সেফ হোম নিয়ে তুঙ্গে মেলার প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 06/01/2022   শেষ আপডেট: 06/01/2022 8:01 p.m.
facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/

এখনও পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গনে ৩০,০০০ পূণ্যার্থী এসেছেন

আদৌ এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা হবে কিনা তাতে রয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলা করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। তবে মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, আগেভাগে সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখতে মরিয়া রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বহাল রাখার পাশাপাশি হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে থাকছে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা।

যদি কোনও পুণ্যার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন বা করোনাক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে তাদের জন্য থাকছে চিকিৎসার ব্যবস্থা। মোট ১৮টি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া থাকবে ১২৫টি বেড। জেলায় মোট ২৩৫টি শয্যা সহ পাঁচটি সেফ হোম থাকছে। গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে বিশেষ ভাবে পাঁচটি হাসপাতালের মোট ৬৩০টি বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আটটি সেফ হোমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, এতে থাকবে ৫৩০টি শয্যা।

এছাড়াও কোভিড আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে, তাদের শেষকৃত্যের জন্য ছ’টি কবরস্থান এবং ছ’টি দাহকার্যের জায়গাকে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। শুধু পুণ্যার্থীদের জন্য নয়, মেলায় কমর্রত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও একাধিক জায়গায় মোট ১৯৩টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর সঙ্গেই মেলা প্রাঙ্গনে থাকছে গ্রিন জোন, পাশাপাশি ই-দর্শন ও ই-স্নানে আরও জোর দেবে এবার রাজ্য। পূণ্যার্থীদের টিকা শংসাপত্র বাধ্যতামূলক, স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা থাকছে, কারও কোভিডের উপসর্গ থাকলে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। খবর, এখনও পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গনে ৩০,০০০ পূণ্যার্থী এসেছেন, চলতি বছরে ৫ লক্ষ পূণ্যার্থী আসার অনুমান করছে রাজ্য।

জানা যাচ্ছে, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা হবে। মোট ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই মেলা হবে। মেলায় ১০,০০০ পুলিশ ও ৫০০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন যাঁদের সম্পূর্ন টিকাকরণ হয়েছে।