"বাঁচার অধিকার সবচেয়ে মূল্যবান", লকডাউন ছাড়ে কেরল সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 20/07/2021   শেষ আপডেট: 20/07/2021 5:45 p.m.
Supreme Court of India By Subhashish Panigrahi - Own work, CC BY-SA 4.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=84

বকরি ঈদ উপলক্ষে ৩ দিন লকডাউনে শিথিলতা ঘোষণা করেছে কেরল সরকার

করোনা (Corona) সংক্রমনের কারণে ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত রাজ্যের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে কেরালা। কিন্তু সম্প্রতি কেরালার (Kerala) প্রশাসন বকরি ঈদ উপলক্ষে তিন দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা করেছে। আর কেরল প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার পিনরাই বিজয়ন প্রশাসনের লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিচারপতিরা। তবে কেরলের বামফ্রন্ট সরকার পাল্টা যুক্তি দিয়ে জানিয়েছে যে ব্যবসায়ীদের চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি আরএফ নরিম্যান ও বিচারপতি বিআর গাবাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, "সবচেয়ে মূল্যবান অধিকার বেঁচে থাকার অধিকার। কোনো প্রকারের চাপের জন্য তাকে উলঙ্ঘন করা যায় না। যদি এই বিধি-নিষেধ ছাড়ের ফলে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে এবং তা সাধারণ মানুষ সুপ্রিম কোর্টের সামনে তুলে ধরতে পারলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

সরকারের লকডাউন শিথিল করার বিরোধিতা করে সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন দাখিলকারী পিকে নাম্বিয়ার শীর্ষ আদালতের কাছে নির্দেশ বাতিল করার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "এখন এই আর্জি অযৌক্তিক। ঘোড়া ইতিমধ্যেই ছুটতে শুরু করে দিয়েছে। আমরা বিজ্ঞপ্তি বাতিল করছি না।" তবে সুপ্রিম কোর্ট কেরল প্রশাসনকে সংবিধানের ২১ ধারার দিকে মনোযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। কেরল সরকারের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই করোনার কারণে কানোয়ার যাত্রা বাতিল করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। অন্যদিকে যোগী সরকার প্রাথমিকভাবে ছাড় দিলেও, পরে সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কার শুনে কানোয়ার যাত্রা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে করোনার ভয়ংকরতা ভুলে গিয়ে কেরল কি করে ঈদ পালনের জন্য লকডাউন শিথিল করল, সেই প্রশ্নে উত্তাল ছিল গোটা দেশ। আর তার জন্যই সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার শিকার হতে হল কেরলের বামফ্রন্ট সরকারকে।