দিল্লিতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ বন্ধের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, জাহাঙ্গীরপুরীতে মোতায়েন ৪০০ পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 20/04/2022   শেষ আপডেট: 20/04/2022 9:38 p.m.
জাহাঙ্গীরপুর বিক্ষোভ https://twitter.com/cpimlliberation/

অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও ঘন্টাখানেক ভাঙচুর চলে জাহাঙ্গীরপুরীতে

গত সপ্তাহ থেকে চলতে থাকা দিল্লির (Delhi) জাহাঙ্গীরপুরীর সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ আজ বন্ধের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও এর আগেই গত শনিবার মসজিদের সামনে থাকা স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বুলডোজারের ঘায়ে। বুলডোজার চালিয়ে দোকানপাট ও স্ট্যাচু ভেঙে ফেলার কিছুক্ষণ পরেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে পিটিশন পেশ করা হয়, যেখানে নির্দেশ দেওয়া হয় ভাঙচুর বন্ধ করার ও জরুরিকালীন শুনানির। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেও ঘন্টাখানেক ভাঙচুর চলে সেখানে। এই প্রসঙ্গে উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (North Delhi Municipal Corporation) মেয়র রাজা ইকবাল সিং (Raja Iqbal Singh) জানান, "তাঁদের কাছে নাকি কোনো নির্দেশ‌ই আসেনি। ফলত পিটিশন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা অবৈধ কাঠামো অপসারণের কাজ চালিয়ে যাবে।"

তীব্র ভাঙচুরের পর আইনজীবী দুষ্যন্ত দাম সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারপতি এনভি রমনা এরপর ভাঙচুর বন্ধের নোটিশ জানিয়ে দিতে বলেন কর্মকর্তাদের। এরপরেই প্রবীণ সিপিএম নেতা বৃন্দা কারাত বিচারপতির আদেশের একটি কপি নিয়ে এলাকায় পৌঁছে যান। তিনি বলেন, "আমরা জাহাঙ্গীরপুরীর বাসিন্দাদের শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি।" এরপরেই উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে লেখা ছিল, "সর্বজনীন রাস্তায় এই ধরনের দখল অপসারণের অভিযানগুলি স্থানীয় পুলিশকে পূর্বে জানানোর সাথে MCD আইন, ১৯৫৭ এর ধারা ৩২১/৩২২/৩২৩/৩২৫ এর অধীনে নোটিশ ছাড়া বা বিনা নোটিশে উত্তর DMC দ্বারা সমস্ত ওয়ার্ড/জোন নিয়মিত করা হয়"। তা সত্ত্বেও আজ সকালে, নটি বুলডোজার লোকালয়ে ঢুকে পড়ে এবং পুলিশি উপস্থিতির মধ্যে‌ও দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপত্য ভাঙতে শুরু করে। এপ্রসঙ্গে দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্তা মেয়রকে চিঠি লিখে বেআইনি স্থাপত্যগুলি শনাক্ত করার অনুরোধ জানায়।

যদিও মেয়র ভাঙচুরের বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে এরমধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রশ্ন তুলছেন। অন্যদিকে পিটিশনকারীরা এই বিষয়টির মধ্যে উত্তর ও মধ্যপ্রদেশের সাম্প্রদায়িক হামলার মিল খুঁজে পেয়েছে যেখানে সংঘর্ষের পর একটি স্থাপত্য গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। প্রসঙ্গত, শনিবারের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পর থেকে ৪০০ জন পুলিশের একটি বাহিনী জাহাঙ্গীরপুরীতে নজরদারি করছে। উল্লেখ্য, মসজিদের পাশ দিয়ে হনুমান জয়ন্তী মিছিল যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় তাদের। চলে গোলাগুলি ও পাথরবৃষ্টি। আর এই সংঘর্ষের জেরে আটজন পুলিশ-সহ মোট নয়জন আহত হয়েছেন।