‘কাশী-বিশ্বনাথ ধাম কেবলমাত্র একটি ‘ভবন’ নয়, এটি ‘সনাতন’ সংস্কৃতির স্মারক’ : মোদী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 13/12/2021   শেষ আপডেট: 13/12/2021 3:05 p.m.
https://twitter.com/narendramodi

বারানসীতে কাশী-বিশ্বনাথ ধাম করিডোরের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের (UP Assembly election) আগেই ধর্মীয় মাস্টারস্ট্রোক বিজেপির (BJP)। বারানসীতে (Baranasi) কাশী-বিশ্বনাথ ধাম করিডোরের (Kashi Viswanath dham Corridor) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কেবল উদ্বোধনই নয়, ললিতা ঘাটে গঙ্গায় নেমে স্নান এবং মন্দিরের ভিতর ঢুকে পূজা করতেও দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। ভগবানের সামনে প্রদীপ হাতে নিয়ে আরতি করলেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে তাঁর মুখে শোনা গেল ধর্মীয় স্থানটির প্রশংসাও।

আজ সকাল ১১ টা নাগাদ বারানসীতে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath), রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল (Anandiben Patel)। বিমানবন্দর থেকে তিনি পৌঁছান কালভৈরব মন্দিরে। সেখানে পূজা সারেন তিনি। সেখান থেকে কিরকিরিয়া ঘাট হয়ে গঙ্গাবক্ষে সফর করে ললিতা ঘাটে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় সংস্কৃতির পোশাক পরিধান করে গঙ্গায় নেমে এদিন স্নান করতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর তিনি ১ টা নাগাদ বিশ্বনাথ ধামে প্রবেশ করেন। সেখানে পূজা দেন তিনি। এরপরেই কাশী-বিশ্বনাথ করিডোরের উদ্বোধন করে বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন মোদী।

‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর বক্তৃতা। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে এবং আমরা সৌভাগ্যবান যে এই ঘটনাটিকে চাক্ষুষ করতে পারছি। অতীতের মন্দির চত্বরের সাথে বর্তমানের তুলনা টেনে এনে তিনি বলেন, আগে মন্দির চত্বর কেবলমাত্র ৩০০০ বর্গফুট ছিল। এখন তা বেড়ে ৫ লক্ষ বর্গফুট হয়েছে। যার ফলে মন্দির চত্বরে এখন একসঙ্গে ৫০ থেকে ৭৫ হাজার পুন্যার্থী সমাগম হতে পারে। তিনি বলেন, কাশী-বিশ্বনাথ ধাম কেবলমাত্র একটি ভবন নয়, বরং এটি সনাতন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের স্মারক। হিন্দিতে বক্তৃতার মাঝে ভোজপুরিতেও বক্তৃতা দিতে এদিন শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই মন্দির চত্বর নির্মাণকারী কর্মীদের প্রশংসা শোনা যায় এদিন মোদীর মুখে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন মুঘল শাসকদের উদ্দেশ্যেও সমালোচনার সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। বলেন, ‘আমাদের দেশে যখনই অউরঙ্গজেব এসেছে, তখনই উত্থান হয়েছে শিবাজির’। তাঁর কথায়, নতুন ভারতবর্ষ তার সংস্কৃতি সম্পর্কে গর্বিত এবং নিজের দক্ষতার বিষয়েও যথেষ্ট আশাবাদী। নতুন আঙ্গিকে গড়ে ওঠা কাশী-বিশ্বনাথ ধাম ভারতকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ দেখাবে বলেই নিজের বক্তৃতায় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

সামনেই দেশের সবথেকে জনগরিষ্ঠ রাজ্যে নির্বাচন। আর তার আগেই কাশী-বিশ্বনাথ ধামের মতো ধর্মীয় ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং তার উদ্বোধন আসন্ন নির্বাচনে মোদী সরকারের হাত অনেকটাই শক্ত করে দেবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৮ মার্চ এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তার আড়াই বছরেরও বেশি সময় বাদে নিজের স্বপ্নের প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন তিনি।