দেশে ৩ জনের মধ্যে ১ জন মহিলা শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার, প্রকাশ্যে রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 08/05/2022   শেষ আপডেট: 08/05/2022 10:36 a.m.

NFHS-5 এর রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

দেশে ক্রমশ বাড়ছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। গত পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা। দ্য ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী শারীরিক বা যৌন হিংসার শিকার হয়েছেন। এমন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মান্ডব্যের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে নারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা ৩১.২ শতাংশ থেকে ২৯.৩ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৩০ শতাংশ মহিলা ১৫ বছর বয়স থেকে শারীরিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন, যেখানে ৬ শতাংশ মহিলা তাঁদের জীবদ্দশায় যৌন হিংসার মুখোমুখি হয়েছেন। আর ১৪ শতাংশ মহিলা শারীরিক এবং যৌন দুই নির্যাতনের শিকার।

সমীক্ষায় আরও রিপোর্ট, ৩২ শতাংশ বিবাহিত মহিলা যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে তাঁরা শারীরিক, যৌন বা মানসিক হিংসার সম্মুখীন হয়েছেন। স্বামীর নির্যাতনের সাধারণ প্রকার হল শারীরিকভাবে আক্রমণ, আর তারপরে মানসিক নির্যাতন এবং সেখান থেকে যৌন অত্যাচারে রূপান্তর।

কর্ণাটকে নারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা সর্বোচ্চ ৪৮ শতাংশ। বিহার, তেলেঙ্গানা, মণিপুর এবং তামিলনাড়ুর রাজ্যেও এই রিপোর্ট চাঞ্চল্যকর। সবচেয়ে কম লক্ষদ্বীপে। সেখানে পারিবারিক হিংসার ঘটনা মাত্র ২.১ শতাংশ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা বেশি (৩২ শতাংশ), অন্যদিকে শহরাঞ্চলে তুলনায় কম (২৪ শতাংশ)। ৪০ শতাংশ মহিলা যাঁরা পড়াশোনা করেননি, তাঁরা অত্যাচারের শিকার। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ৩৯ শতাংশ মহিলা শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার।