প্যান্ডেমিক থেকে এন্ডেমিক! ভারতের স্থায়ী আঞ্চলিক রোগের রূপ নিচ্ছে করোনা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 25/08/2021   শেষ আপডেট: 25/08/2021 8:36 a.m.
twitter.com/doctorsoumya

ভাইরাসের প্রাণঘাতী শক্তি কমে আসছে, অভ্যস্ত হচ্ছে মানুষ, জানালেন সৌম্যা স্বামীনাথন

বিশ্বজোড়া অতিমারি এখন ধীরে ধীরে ভারতের এক স্থায়ী আঞ্চলিক রোগে পরিণত হচ্ছে। অর্থাৎ প্যান্ডেমিক থেকে এন্ডেমিকের রূপ লাভ করছে করোনা ভাইরাস। এন্ডেমিক কথার অর্থ প্যান্ডেমিক এন্ড বা অতিমারির শেষ, ঠিক তেমন নয়। এক্ষেত্রে, প্রাণঘাতী ভাইরাসের ঘাতক ক্ষমতা কমে আসা এবং সংক্রমণের হারও অনেক নিম্নমুখী হওয়া, এগুলিই বোঝানো হয়েছে। ভাইরাস তার সংক্রামক শক্তি কমালেও অঞ্চলভেদে স্থায়ীভাবে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকবে। ভারত এমনই এক পর্যায়ে যেতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন।

এন্ডেমিক বলতে বোঝানো হয়েছে স্থায়ী আঞ্চলিক রোগ। ভাইরাস সম্পূর্ণ বিদায় নেয়না, অথচ শক্তি হারায়। এখন ভারতের করোনা পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছে বলে জানান তিঁনি। এই পর্যায়ে এসে ভাইরাসের সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হচ্ছে জণগন। ভারতের অঞ্চলভেদে জনঘনত্বের তারতম্য অনুসারে দেশের একেক প্রান্তের মানুষের মধ্যে একেক রকম রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। তাই কখনো কোথাও সংক্রমণ বাড়বে, আবার কমবে, এভাবেই টিকে থাকবে স্থায়ী এই ভাইরাস। তবে ধীরে ধীরে কোভিডের সাথে লড়াইয়ে অনেকটাই জয়ের পথে ভারতীয়রাভারতীয়রা, জানান হু-বিজ্ঞানী।

২০২২ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ টিকাকরণ হবে দেশের সত্তর শতাংশ মানুষের। তখন আরও কিছুটা নিরাপদ হওয়া যাবে, জানান তিঁনি। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে ভারত সরকার। এই আসন্ন ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল, তবে এখনই প্যানিক করার কোনো দরকার নেই বলে আশ্বস্ত করেন স্বামীনাথন।