ITU গ্লোবাল সাইবার সুরক্ষার তালিকায় দশম ভারত, এক ধাক্কায় পিছনে ফেলল ৩৭ দেশকে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 30/06/2021   শেষ আপডেট: 30/06/2021 4:35 p.m.

করোনা পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সাইবার সিকিউরিটি কেস ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

বেশ কিছু বছর আগে থাকতেই শুরু হয়েছে ভারতের ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India) সফর। বর্তমান যুগের যেহেতু প্রত্যেকটি কাজ করতেই ডিজিটাল মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল হতে হয় তাই সাইবার সুরক্ষা মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। গতবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এই বিষয় নিয়ে বক্তব্যও রেখেছিলেন। তার সুফল মিলল আজ। গতবছর গোটা বিশ্বের মধ্যে সাইবার সুরক্ষায় (Cyber Security) ভারতের স্থান ছিল ৪৭। চলতি বছরে এক লাফে ৩৭ টি দেশকে পেরিয়ে ভারতের (India) স্থান হয়েছে দশম। জাতিসংঘের ITU গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডায় বিশ্বের প্রতিটি দেশকে সাইবার সিকিউরিটির বিচারে স্থান দেওয়া হয়। আর সেই তালিকায় দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে প্রগতিশীল ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে বলিয়ান ভারত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে সৌদি আরব। তবে সাইবার সুরক্ষার জন্য বিপুল বিনিয়োগ করেও চীন ৩৩ নম্বর স্থানে রয়েছে। পাকিস্তানের অবস্থান ৭৯ নম্বরে।

তবে তালিকা প্রস্তুত হলেও ভারত বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে আগের তুলনায় সাইবার অ্যাটাকের সংখ্যা অনেকগুন বেড়ে গিয়েছে বলে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ভারতে ১.১৬ মিলিয়ন সাইবার সিকিউরিটি কেস নথিভূক্ত হয় যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৩ গুন। প্রতিদিন দেশজুড়ে গড়ে ৩ হাজারের বেশি সাইবার সিকিউরিটি কেস সামনে আসে। সাইবার সুরক্ষায় এক নম্বর দেশ আমেরিকাতেও একই ধরনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, গত বছর থেকে করোনার কারণে যেহেতু সকলে অনেক বেশি পরিমাণে ডিজিটাল নির্ভর হয়ে পড়েছে তাই এই সাইবার অ্যাটাক হওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাইবার ক্রিমিনালরা বিভিন্ন ধরনের ফিশিং, আইডেন্টিটি ব্লিচ, ম্যালওয়্যার, স্প্যাম ইমেইল ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের লুটপাট চালাচ্ছে। তবে বর্তমানে প্রত্যেকটি দেশ সক্রিয়ভাবে সাইবার ক্রিমিনালদের দমন করার চেষ্টা করছে।