১৫-মাস ব্যাপী প্রতিবাদের অবসান, ১১ ডিসেম্বর ঘরে ফিরবেন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 09/12/2021   শেষ আপডেট: 09/12/2021 3:50 p.m.
-

ঘরে ফিরে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে পূজা দেবেন পাঞ্জাবের কৃষক নেতারা

দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে (Delhi border) একনাগাড়ে প্রতিবাদ চালিয়ে গেছেন কৃষকরা (farmers)। লক্ষ্য অনেক। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সংবিধানবিরোধী তিনটি কৃষি আইনকে (Farm bills) উৎখাত করা। তাঁদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফল তাঁরা পেয়েছেন অবশেষে। কৃষি বিল প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্র। তাই এবার ঘরে ফেরার পালা।

জানা গিয়েছে, আগামী শনিবার অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর দিল্লির সিঙ্ঘু (Singhu) এবং টিকরি (Tikri) সীমান্ত থেকে ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ‘প্রতিবাদী’ কৃষকেরা। তবে প্রতিবাদস্থল ছেড়ে যাওয়ার আগে বেশ কিছু পরিকল্পনাও করে রেখেছে কৃষক সংগঠন। সূত্রের খবর, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টা নাগাদ সীমান্তে ফতে আরদাস (বিজয় প্রার্থনা) পালন করবেন তাঁরা। আগামী ১১ তারিখ সকাল ৯ টা নাগাদ ফতে মার্চের (বিজয় মিছিল) মাধ্যমে সীমান্ত ছাড়বেন তাঁরা। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, পাঞ্জাবের কৃষক নেতারা আগামী ১৩ ডিসেম্বর অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে (Golden Temple) পূজা দেবেন। আগামী ১৫ তারিখ আরও একটি বৈঠকের আয়োজন করেছেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (SKM)।

উল্লেখ্য, নিজেদের ৬ টি দাবী জানিয়ে গত ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন সংযুক্ত মোর্চার সদস্যরা। সেখানে তাঁরা জানিয়েছিলেন তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহার আসলে অনেকগুলি দাবীর একটি। তাঁরা নুন্যতম সহায়ক মুল্যের (MSP) আইনি গ্যারান্টি-সহ আরও বেশ কিছু দাবী তোলেন সেই চিঠিতে এবং জানান, তাঁদের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা প্রতিবাদস্থল ছাড়বেন না।

তার জবাবে গতকাল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পাঁচ সদস্যের কমিটির কাছে কেন্দ্রের কাছ থেকে একটি চিঠি এসে পৌঁছায়। চিঠিতে জানানো হয়, নুন্যতম সহায়ক মুল্য নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করবে কেন্দ্র। কমিটিতে সরকারী আধিকারিক, কৃষি বিশেষজ্ঞদের সাথে থাকবেন কিষাণ মোর্চার প্রতিনিধিরাও। পাশাপাশি এও আশ্বাস দেওয়া হয়, কৃষকদের নামে ইহযাবত যত পুলিশি মামলা করা হয়েছে, সে সমস্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় সেই চিঠিতে। আর এরপরেই বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন কৃষকেরা।