মহা শিবরাত্রি : উদযাপনে দেশবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 01/03/2022   শেষ আপডেট: 01/03/2022 10:59 a.m.
https://twitter.com/iamrealshivang

ফাল্গুনি কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালন করা হয় বিশেষ এই দিন

দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) পুন্য তিথি। বিভিন্ন জগতের তারকা থেকে শুরু করে আম নাগরিক, সকলেই মেতেছেন মহাযোগীর আরাধনায়। ফাল্গুনি কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হচ্ছে এই বিশেষ দিন।

নানান মাহাত্য জুড়ে রয়েছে এই দিনের সঙ্গে। কেউ মনে করেন, সমুদ্রমন্থনের সময় এই বিশেষ দিনেই গর্ভোদক সাগর থেকে উৎপত্তি হওয়া বিষ পান করে ব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করেছিলেন দেবাদিদেব। অন্য মতে, ভগবান ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর মধ্যে চলা ‘কে সেরা’র যুদ্ধ থামানোর জন্য এইদিনেই প্রথমবারের মতো প্রকট হন আদিদেব। আবার অনেকের ধারণা, হিমালয় কন্যা পার্বতীর সঙ্গে মহাদেব মিলিত হন শিবরাত্রির এই দিনে। এছাড়াও দেবাদিদেবের মহাজাগতিক নাচ থেকে শুরু করে শিব-শক্তির মিলন, নানা মুনির নানা মত প্রচলিত রয়েছে কৃষ্ণ চতুর্দশীর এই দিনকে কেন্দ্র করে।

এদিন সকাল থেকে টুইটারে নজর পড়ে শিবরাত্রিকে কেন্দ্র করে অসংখ্য শুভেচ্ছাবার্তা। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জগত, ক্রীড়াজগতের একাধিক ব্যক্তিত্বকে জানাতে দেখা গিয়েছে মহা শিবরাত্রির শুভেচ্ছাবার্তা।

প্রধানমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন, ‘মহা শিবরাত্রির পবিত্র সময়ে সকলের জন্য মঙ্গলকামনা করি। দেবতাদের দেবতা মহাদেব সকলের কল্যাণ করুন। ওম নমহ শিবায়’।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) টুইট করেছেন, ‘মহা শিবরাত্রির পুন্য তিথিতে আমার সকল ভাই এবং বোনেদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। সকলের জন্য শান্তি, ঐক্য এবং সুখের প্রার্থনা করি’।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সকলকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে লিখেছেন, ‘শিব সুন্দর। শিবই সাহস। শিবই সত্য। মহা শিবরাত্রির শুভকামনা’।

বিশেষ দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সেওয়াগ থেকে সুরেশ রায়নার মতো তারকা খেলোয়াড়েরাও।

শিবরাত্রির দিনে উপবাস করে মহাদেবের মাথায় দুধ, জল ঢেলে থাকেন প্রচুর মানুষ। গ্রামবাংলায় এখনও শিবঠাকুরের মতো স্বামী পাওয়ার আশায় শিবরাত্রির উপবাস করে থাকেন বহু অবিবাহিত মহিলা। কাশী-বিশ্বনাথ তো আছেই, বিশেষ দিনটিতে তারকেশ্বর, বড়কাছারির মতো বাংলার ধর্মস্থলগুলিতে সমাগম হয় অসংখ্য মানুষের। তার উপর বিগত বছরে করোনা অতিমারির বাড়বাড়ন্তে অনেকটাই সীমিত ছিল উদযাপনের বহর। এবছর স্বাভাবিকের পথে পরিস্থিতি। তাই উদযাপন যে একটু বেশিই হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবুও জেনে রাখা ভালো, করোনা পরিস্থিতির হাত থেকে এখনও সম্পূর্ণ মুক্তি পায়নি দেশ। তাই উদযাপন হোক, আনন্দ হোক, তবে সাবধানে।