সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলেছেন নুসরত, সাংসদ পদ খারিজ করা নিয়ে লোকসভার স্পিকারের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 23/06/2021   শেষ আপডেট: 23/06/2021 8:37 a.m.
নুসরত জাহান facebook.com/nusratchirps/

উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন এর বিজেপি সাংসদ সংঘমিত্রা মৌর্য এই দাবি রেখেছেন

গত একমাস ধরে একের পর এক বিতর্কে জর্জরিত টলিউড অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। একদিকে স্বামী নিখিল জৈন এর সঙ্গে সম্পর্কের টানপোড়েন, বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্ক আবার তার অনাগত সন্তান, সবকিছু নিয়েই বিতর্কের জালে জড়িয়ে আছেন এই তৃণমূল সাংসদ। আর এবারে তার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন এবং সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যে কথা বলার অভিযোগ এনে তার সাংসদ পদ খারিজ এবং তার বিরুদ্ধে এথিকস কমিটির তদন্তের দাবি জানালেন উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি সাংসদ।

উত্তর প্রদেশের বদায়ুনের বিজেপি সাংসদ সংঘমিত্রা মৌর্য দাবি করেছেন, "নিজের বৈবাহিক জীবন নিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশিত করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি যা বলেছেন, তার সাথে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার বয়ান একেবারেই মেলে না। অর্থাৎ, স্পষ্ট যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিশ্বাসের অবমাননা করে তিনি তাদের ভোট নিয়েছেন।"

এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই সংঘমিত্রা নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটির তদন্ত দাবি করেছেন। এই মর্মে তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংসদে শপথ গ্রহণের সময় তৃণমূলের বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহান নিজের নাম নুসরাত জাহান রুহি জৈন বলেন। এছাড়াও ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার্ড, নিখিল জৈন নুসরাত জাহানের স্বামী। কিন্তু চলতি মাসে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি নিজের বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে যা বক্তব্য রাখলেন তা একেবারেই তার সংসদে রাখা বক্তব্যের সঙ্গে মেল খায়না।

নুসরাত জাহানের সম্পর্কের এই সত্য-অসত্য নিয়ে কিছুদিন আগে টুইটারে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। বিজেপির অন্যান্য নেতারাও তার তালে তাল মিলিয়ে নুসরাতকে নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। তার মধ্যেই এবারে সরাসরি লোকসভার অধ্যক্ষকে নুসরাতের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখলেন সংঘমিত্রা মৌর্য। তিনি বলছেন, নুসরাত জাহান ব্যক্তিগত জীবনে কি করছেন না করছেন সেটা নিয়ে কেউ আগ্রহী নয়। কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যে কথা বলা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি এবং অনৈতিক। এই কারণেই ১৯ জুন ওম বিড়লার কাছে চিঠি লিখে নুসরাতের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সংঘমিত্রা।