ভারতীয় সেনার গোপন নথি পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার খোদ সেনাকর্মী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 16/07/2021   শেষ আপডেট: 16/07/2021 7:02 a.m.
ভারত পাকিস্তান .

তার সাথেই আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত একজন সবজি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

পাকিস্তানের কাছে নিজের দেশের সেনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করে দেওয়ার অপরাধে এবারে গ্রেফতার হলেন খোদ একজন সেনা কর্মী। এই অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে পোখরান আর্মি বেস ক্যাম্পে। একজন সবজি বিক্রেতার মাধ্যমে ওই সেনা কর্মী সমস্ত নথি পাচার করছিল বলে জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। হবিবুর রহমান নামে ওই সবজি বিক্রেতা কে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে আসল বিড়াল। জানা যায়, হবিবুর রহমান নামক ওই সবজি বিক্রেতাকে আসলে নথি দিচ্ছিল পরমজীত নামের একজন সেনা কর্মী।

তিনি নিজেও সবজি বিক্রেতা কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন সে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর কাছে সমস্ত নথি পত্র পৌঁছে দেয়। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ হাবিবুর'এর জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, পোখরান আর্মি বেস ক্যাম্প থেকে নথি পাচারের চেষ্টা করছিল হাবিবুর রহমান নামের ৩৪ বছরের ওই সবজি বিক্রেতা। মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। হবিবুর এর কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায় যা সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তারপরেই হবিপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে দিল্লি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পরমজিতের নাম উঠে আসে। একটা সময় পরমজিত পোখরান বেসক্যাম্পে পোস্টেড ছিল।সেই বেসক্যাম্পে থাকার সময় হবিবুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপরেই দুজন মিলে একসাথে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ নথি আইএসআই এর কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্ল্যান তৈরি করেছিল বলে জানা যায়। কিন্তু তবুও পুলিশের হাতে একটা মিসিং লিঙ্ক থেকেই যাচ্ছে। আইএসআইয়ের সঙ্গে এই হবিবুর রহমানের যোগাযোগ তৈরি হলো কি করে?

যদিও অল সবজি বিক্রেতা জানিয়েছেন তার বেশ কিছু আত্মীয় পাকিস্তানের থাকেন। একবার সে নাকি পাকিস্তানে গিয়েছিল। সেই সময় আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় হাবিবুর রহমান। তারপর তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নথি আইএসআই এর হাতে তুলে দেওয়ার। তার পরিবর্তে একটা মোটা টাকা হাবিবুরকে দেওয়া হতো আইএসআই এর তরফ থেকে। হবিবুর রহমান জেরায় স্বীকার করেছে, হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমে সে এতদিন ধরে টাকা পেয়েছে। পুলিশ বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে। দিল্লি পুলিসের আশা  খুব তাড়াতাড়ি এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সকলেই পুলিশের হেফাজতে থাকবে।