এবার তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপর রিজার্ভ ব্যাংক
কেন্দ্রীয় কোষাগার চরম সঙ্কটে, তাই রাজ্যগুলির থেকে পুরোপুরি শুষে নিচ্ছে : রথীন রায়
পেট্রল ডিজেলের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে এবার নড়চড়ে বসল রিজার্ভ ব্যাংক। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পেট্রল ডিজেলের ওপর যে কর বসত তার পুরোটাই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বাটোয়ারা হত। কিন্তু মোদী সরকারের সময়ে বর্তমানে আদায়ীকৃত করের ৯৬ শতাংশই নিজেদের কাছে রাখছে কেন্দ্র। সেস সারচার্জ বাড়ানোর জন্য মাত্র ২-৪ শতাংশ রাজ্যের সাথে ভাগ করে কেন্দ্র। গত ৪ঠা জুন পেট্রল ডিজেলের করের বোঝা কমানোর জন্য সওয়াল ওঠে রিজার্ভ ব্যাংকের ঋননীতি কমিটির পক্ষ থেকে। পাইকারি ও খুচরা দুক্ষেত্রেই রিজার্ভ ব্যাংকের লক্ষ্য মাত্রা ছাপিয়ে গেছে এই লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও অর্থ মন্ত্রকের দফতরেও কথা চালাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক।
এই মুহূর্তে কোনো রাজ্যে পেট্রল ডিজেল সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই, আবার কোথাও অনেকদিন আগেই সেঞ্চুরি পার করে গেছে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এ ব্যপারে আগেও বলেছেন, বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির সাথেই এই দাম বর্ধিত হয়। তেলে যে কর আদায় হয়, তা কোভিডের মোকাবিলায়, গরিবদের সুরাহায় কাজে লাগানো হচ্ছে, দাবি করেন তিঁনি। উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রা অবশ্য দাবি করেছে, লকডাউন শিথিল হলে তেলের বিক্রি বাড়বে, ফলে কর আদায় বাড়লে সরকারের পক্ষে লিটারে ৪.৫০ টাকা মতো সেস ছাঁটাই সম্ভব হবে।
তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী পি থিয়াগা রেড্ডি স্পষ্ট জানান, কেন্দ্র যে কর নিচ্ছে, তার বেশীরভাগই রাজকোষে রাখছে। অর্থ কমিশনের সূত্র মেনে ৪২% রাজ্যগুলির মধ্যে বিলি করছে না। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য রথীন রায় বলেন, কেন্দ্রের কোষাগার এতটাই সঙ্কটে যে রাজ্যগুলির থেকে পুরোদস্তুর শুষে নিচ্ছে।