করোনার কোপে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৩ শতাংশ, জানাচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 09/06/2021   শেষ আপডেট: 09/06/2021 9:08 a.m.
বিশ্ব ব্যাঙ্ক By Shiny Things - Flickr, CC BY 2.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=2390362

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ৯.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.৩ শতাংশের কথা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক

কোভিড অতিমারির (Covid pendamic) কারণে বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার প্রভাব স্পষ্ট। তার কোপে যে ভারতও পড়েছে, তা স্বীকার করছে সব মহল। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (The reserve bank of India) ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ঘোষণা করেছিল ৯.৫ শতাংশ। এবার আরও কাটছাঁট করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক (The world bank) জানাল ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৮.৩ শতাংশ। শুধু এই অর্থবর্ষ নয়, আগামী দুই অর্থবর্ষেও হতে পারে যথাক্রমে ৭.৫ শতাংশ এবং ৬.৫ শতাংশ। ক্রমান্বয়ে এই সূচক হ্রাসে ভারতীয় অর্থনীতি পূর্বের বৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাংশ।

গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ে কার্যত গোটা দেশ লকডাউনের পথে হাঁটে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বিপদে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিক থেকে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় ক্ষুদ্র শিল্প মার খায়। মানুষের হাতে নগদ অর্থের যোগান না থাকায় যার প্রভাব দেশের আর্থিক বৃদ্ধির উপর পড়ে। ফলে গত বছর থেকেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ক্রমান্বয়ে কমেছে। প্রথম দফার লকডাউন কাটিয়ে সবে যখন দেশ আবার নতুন ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল, তখনই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার গোটা দেশ। এর ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার যে কমতে পারে তার আশঙ্কা আগেই করেছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এবার সেই পূর্বাভাস আরও নামিয়ে আনল বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হ্রাসের কারণ হিসেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বৃদ্ধির পূর্বাভাস আগে থেকে বাড়ানো হলেও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশের সার্বিক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশ লকডাউন ঘোষণা না করলেও বিভিন্ন রাজ্য কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটেছে। এমন অবস্থায় আর্থিক বৃদ্ধির সূচক পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এমনকী আগামী দিনে চাহিদা ও লগ্নি ঝিমিয়ে থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন মনে করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। গ্রামের সামগ্রিক পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দের সুপারিশ করেছে এই সংস্থা।