বাংলাদেশে (Bangladesh) দ্রুত ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন। থামছে না হিংসা। কুমিল্লার দুর্গাপুজোতে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে, এই অভিযোগ উঠতেই চলে মণ্ডপ ভাঙচুর। এখনও থামেনি হিংসার পারদ। এবার বাংলাদেশে পুড়ল অন্তত ৬৫টি হিন্দুদের ঘর। এই ঘটনায় কার্যত আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার একাধিক জায়গায় আলাদা আলাদাভাবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেছে হিন্দু-মুসলিমরা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রবিবার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ হয়। রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়ার জেলেপল্লিতে হিন্দুদের ২০টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহম্মদ সাদেকুল ইসলাম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হিন্দুদের অন্তত ৬৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। আর এই হামলাকারীরা জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের সদস্য।
এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হাসিনা সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা দোষীদের কঠোর ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দাবি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে হামলা চালানো হয়েছে। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে জানালেন।