চিনে মতপ্রকাশের অধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা যে কতটা বিপন্ন তা যেন আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বিশ্বের কাছে। ফের গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের কন্ঠরোধে তৎপর চিন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই গালওয়ান সংঘর্ষে চিনা সেনার মৃত্যু হওয়ার কথা প্রথমবার ঘোষণা করেছে জিন পিং প্রশাসন। চাপের মুখে পড়ে এই প্রথম গালওয়ানে চিনা সেনা অফিসারদের হতাহতের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি। তবে চিন সরকারের হিসাবে সন্দেহ প্রকাশ করায়, তিনজন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করল লাল ফৌজ।
তাঁদের অন্যতম কিউ জিমিং নামের এক সাংবাদিক। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিলেন, "চিন বলছে মাত্র চারজন চিনা সেনা মারা গিয়েছেন তা ঠিক নয়। মৃতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি।" এর পাশাপাশি, তিনি প্রশ্ন তোলেন, সংঘর্ষে যে চিনা সেনাদেরও মৃত্যু হয়েছে তা মেনে নিতে আট মাস লাগল কেন? এই অভিযোগ করায়, গ্রেপ্তার করা হয় সাংবাদিক ও আরও দুই ব্লগারকে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার একটি সংবাদসংস্থাও দাবি করেছিল, গালওয়ান সংঘর্ষে ৪৫ জন চীনা জওয়ান মারা গিয়েছেন। এই দাবির সঙ্গে অনেকটাই সহমত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও। ভারত যদিও বারবার বলে এসেছে, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০জন চীনা সেনা নিহত হন। যদিও বেজিং-এর তরফে এ দাবি কখনই স্বীকার করা হচ্ছে না।