নতুন বিতর্কে ধনকুবের এলন মাস্ক (Elon Musk)। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশ 'অবৈধ সম্পর্কের' কারণে দীর্ঘদিনের বন্ধু গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। কার সঙ্গে এলন মাস্ক সেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন? রিপোর্টের দাবি, বন্ধু সের্গেই ব্রিনের স্ত্রী নিকোল শানাহানের সঙ্গে নাকি তাঁর গোপন সম্পর্ক ছিল। এমনকী ব্রিন তাঁর আর্থিক উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মাস্কের কোম্পানিতে তাঁর বিনিয়োগ বিক্রি করার জন্য। এমনই একটি রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়।
মাস্কের এই সম্পর্কের গুঞ্জন এখনও অস্পষ্ট, যদিও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করেছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে মিয়ামির আর্ট বাসেল ইভেন্টে এই সংক্রান্ত কথোপকথন হয়েছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সঙ্গী এবং গায়ক গ্রিমসের সঙ্গে মাস্কের বিচ্ছেদের পরে ঘটনাটি ঘটেছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত লোকেরা প্রকাশনাকে বলেছিল সের্গেই ব্রিন এলন মাস্কের ক্ষমাপ্রার্থনা স্বীকার করেছেন, কিন্তু তাঁরা এখনও কথা বলছেন না। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের কেউ মুখ খোলেননি।
![Rudranil Ghosh and Debangshu Bhattacharya](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/04/10/Screenshot_20220410-100149_Quotes_Creator.jpg)
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
রিপোর্টে প্রকাশ সের্গেই ব্রিন একসময় বন্ধু এলন মাস্ককে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সময়টা ২০০৮। গোটা বিশ্বেই তখন অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এলন মাস্ক তখন টেসলা নিয়ে রীতিমতো লড়াই করছিলেন। সেই সময় পাশে এগিয়ে এসেছিলেন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বন্ধু সের্গেই ব্রিন। সেই বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গেই নাকি অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মাস্ক। যদিও মাস্কের বক্তব্য, কোন শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা ঘটেনি, নেহাতই কাজের যদিও গোটা বিষয়টি জল্পনা।
সম্প্রতি এলন মাস্কের আর একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তিনি একটি ভিডিও-তে দাবি করেছেন, 'টাকার নাকি কোন ক্ষমতাই নেই'। পৃথিবীর ধনকুবেরের এমন মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। DogeDesigner টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। ভিডিওটির একটি সাক্ষাৎকারে দেখা যায় এই বছর এপ্রিলে মাস্ক এমন কথা বলেছিলেন। তিনি কথা বলেছিলেন, অর্থের নিজস্ব কোন মূল্য বা ক্ষমতা নেই। "মানুষ মাঝে মাঝে বিভ্রান্ত হয়, যখন তারা মনে করে একটি অর্থনীতিতে অর্থই প্রধান। অর্থ হল পণ্য ও পরিষেবার বিনিময়ের জন্য একটি ডাটাবেস মাত্র। অর্থের নিজের মধ্যে শক্তি নেই। প্রকৃত অর্থনীতি হল পণ্য ও পরিষেবা।"