একেই আকসাই চিনকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে উত্তপ্ত ভারত-চিন সম্পর্ক। তার উপর এবার সেই চিনকে নিয়েই ভারত, আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশের জন্য চিন্তার কথা শোনাল পেন্টাগন। চাঞ্চল্যকর দাবী করে তাদের তরফ থেকে জানানো হল, দ্রুতগতিতে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণ করছে চিন। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে হাজারেরও বেশি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন ভারতের প্রতিবেশী এই রাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের রিপোর্ট ‘মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্ট ইনভলভিং দ্যা পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না ২০২১’-এর তথ্যানুযায়ী, যে গতিতে পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণ করছে সেই দেশ, তাতে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে চিনের কাছে থাকবে অন্তত ৭০০ টি পারমাণবিক বোমা।
তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, এসব কেবলই অনুমান। বাস্তবে ২০৩০ সালের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে ১০০০-এর গণ্ডিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ড্রাগনদের দেশ। উল্লেখ্য, গত বছর এই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগই দাবী করেছিল, ২০৩০-এর মধ্যে চিনের কাছে থাকবে ৪০০ টি পারমাণবিক অস্ত্র।
তবে শুধু পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যাই নয়, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে নিজেদের স্থল, সমুদ্র এবং বিমান ঘাঁটিগুলিতে পানমানবিক অস্ত্র সরবরাহ প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়াতে বিপুল বিনিয়োগ করছে চিন। সে জন্য সে দেশের প্রশাসনের তরফ থেকে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও। রিপোর্ট অনুযায়ী, খুব সম্ভবত ইতিমধ্যেই চিন পারমাণবিক সক্ষম একটি বায়ুচালিত ব্যালিষ্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্থল ও সমুদ্র-ভিত্তিক পারমাণবিক ক্ষমতার উন্নতির সাথে একটি নতুন ‘পারমাণবিক ট্রায়াড’ প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রসঙ্গত, শুধু ভারতবর্ষই নয়, বর্তমানে চিনের সাথে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে আমেরিকাও। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু সময় ধরে চড়েছে উত্তেজনার পারদ। তার মধ্যেই আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে প্রকাশিত হল এমন তথ্য। তথ্যে এও উল্লেখ করা হয়েছে, অক্টোবর মাসে মহড়ার উদ্দেশ্যে তাইওয়ানের আকাশে চিনের তরফে পাঠানো হয়েছে ২০০র বেশি যুদ্ধবিমান।