দুর্গা পুজোর মধ্যেই ফের অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। দশমীর দিন বাংলাদেশের মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্র মারফত খবর। বাংলাদেশের নোয়াখালিতে অবস্থিত ইসকনের মন্দিরে শুক্রবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ইসকনের অভিযোগ, ওই মন্দিরের কিছু অংশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী মন্দিরে থাকা ভক্তদের মারধরও করা হয়েছে বলে ইসকনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইসকনের তরফে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইসকন।
ঠিক কী ঘটেছিল? একটি সূত্র মারফত খবর, বাংলাদেশের নোয়াখালির চৌমুহনীতে একটি ইসকনের মন্দিরে প্রায় পাঁচ শতাধিক দুষ্কৃতীদের একটি দল এসে হামলা চালায়। এই হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পার্থ দাস নামে একজন ইসকনের সদস্য এই দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাঁর দেহ মন্দিরের পাশে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই পেছনে নাকি সেদেশের আওয়ামি লিগের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। ইসকন কর্তৃপক্ষ সেদেশের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাদের নিরাপত্তার জন্য।
ইসকন এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, "বাংলাদেশের নোয়াখালিতে ইসকন মন্দির এবং তাঁদের ভক্তরা দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত। মন্দিরের অবস্থা তছনছ করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের এক সদস্য গুরুতর আহত। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সেদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা দিন এবং দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন।" উল্লেখ্য, এর আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, মূর্তি ভাঙার ঘটনায় জড়িত দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। আর এই ঘটনার পরেই নোয়াখালির এই ইসকনের মন্দির ভাঙচুর ও ভক্তদের আক্রমণের ঘটনায় নতুন করে সেদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।
উল্লেখ্য, অষ্টমীর দিন কুমিল্লার বহু পুজোমণ্ডপ, প্রতিমা ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। কেবল কুমিল্লা নয়, চাঁদপুর, গাজিপুর, কুড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রভৃতি এলাকায় এমন মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ আসে। সরকারের তরফে নামানো হয় সেনা। এই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৩ জনকে।