তালিবানি ২.০ জমানায় প্রায় ডুবতে বসা নারীস্বাধীনতা এবং নারী শিক্ষার মাঝেই আবারও আশার আলো দেখাল তালিবান সরকার। মঙ্গলবার তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ঘোষণা করলেন, খুব শীঘ্রই দেশের মেয়েদের বিদ্যালয়ে ফেরানোর কাজ শুরু করা হবে। তবে তালিবান মন্ত্রীসভায় যে মেয়েদের কোনও ঠাঁই নেই, সেকথাও স্পষ্ট করে এদিন জানিয়ে দিলেন তালিব মুখপাত্র।
গত সপ্তাহের শেষেই আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রক থেকে একটি নির্দেশ জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল এখন থেকে স্বাভাবিকভাবে স্কুলে যেতে পারবে সেখানকার পুরুষ শিক্ষক এবং পুরুষ ছাত্রেরা। তবে সেই নির্দেশনামায় দেশের মেয়েদের বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি শিক্ষামন্ত্রক। তবে সেই নির্দেশনামায় কার্যত পিছু হটতে বাধ্য হল তালিবান সরকার। মঙ্গলবার কাবুলে সাংবাদিক বৈঠক করে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ জানালেন, তাঁরা কাজকর্ম দ্রুত গুছিয়ে নিচ্ছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুলের গণ্ডিতে ফের পা রাখবে দেশের কন্যারা। সাথে তাঁর সংযোজন, সবার আগে পড়াশোনা করবার জন্য দেশে একটি সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তোলা দরকার।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবান দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করার পরেই সেখানে নারীরা আবার ঢাকা পড়েছিল উপেক্ষার অন্ধকারে। তবে একবিংশ শতাব্দীর প্রতিবাদী নারীরা এই উপেক্ষা মেনে নেননি। সমানাধিকারের দাবীতে বিগত প্রায় একমাস ধরেই সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদরত আফগানি মহিলারা। আর সেই প্রতিবাদেরই সুফল পেতে চলেছেন তাঁরা অবশেষে। তবে বিদ্যালয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র মিললেও এখনই তাঁরা ফিরতে পারবেন না কর্মক্ষেত্রে। দেশের রাজধানী কাবুলের মেয়র ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, সেখানের যে সমস্ত পৌর প্রশাসনিক কাজে মহিলারা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সরিয়ে সে জায়গায় আনা হবে পুরুষ কর্মচারীদের। তাই প্রতিবাদের লড়াইতে প্রাথমিক জয়লাভ হলেও, আফগান মহিলাদের জন্য সমানাধিকারের দিল্লী এখনও বহুদূর।