করোনা সংক্রমণ রোধে ভারত সরকারের ভূমিকা শুধু দেশে নয়, সমাদৃত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে নানা দেশে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে ভারত। দেশে প্রচলিত আছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও সিরামের অক্সফোর্ড কোভিশিল্ড। সংক্রমণ ঠেকিয়ে স্বাভাবিকত্বে ফিরে আসার পথেই ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যেই গ্রাফ আবার উর্দ্ধমুখী। তবে এরই মাঝে আরও এক যুগান্তকারী ভ্যাকসিনেশনের উপায় আবিষ্কৃত হল ভারত থেকেই। এক মার্কিন সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগে ভারত বানালো এমন এক ক্যাপসুল যা সেবনের অর্থই টিকাগ্রহণ করা। যার ফলে ছুঁট ফুটিয়ে টিকা গ্রহণের আর প্রয়োজন নেই কারণ এই ক্যাপসুলটি ইনজেকশনেরই বিকল্প।
ভারতের 'প্রেমাস বায়োটেক' এবং মার্কিন কোম্পানি 'ওরামেড ফার্মাসিটিক্যালস'-এর যৌথভাবে তৈরি করোনা টিকার নামকরণ করা হয়েছে ‘ওরাভ্যাক্স কোভিড-১৯’। গত ১৯-শে মার্চ দুই সংস্থার তরফ থেকেই এই টিকার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই ক্যাপসুল টিকার আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক, এর একটি ডোজেই রোধ করা যাবে করোনা। তাই ইঞ্জেকশন পদ্ধতির মতো একাধিক ডোজ নিতে হবেনা। কীভাবে এই টিকা কাজ করে এবং ঠিক কতটা কার্যকরী, সবই জানানো হয়েছে প্রেমাস বায়োটেকের তরফে। জানানো হয়েছে, পশুদের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করে চমকপ্রদ ফল মিলেছে। বিশেষত শ্বাসযন্ত্র ও খাদ্যনালী যেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করে করোনা, সেই স্থানগুলিতেই বেশী প্রভাব ফেলেছে এই ক্যাপসুল ভ্যাকসিন 'ওরাভ্যাক্স'। অতি সত্বর এই 'ওরাভ্যাক্স' -এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হবে।