বিশ্বের প্রায় ১৪০ টি দেশ থেকে অংশগ্রহণ করা ১২০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে পিছনে ফেলে ফাইনালে নির্বাচিত হন মাত্র দশজন। তাদেরই মাঝে প্রথম স্থান অধিকার করে নিলেন মহারাষ্ট্রের রঞ্জিত সিং দিসালে। গ্লোবাল টিচার পুরস্কারের মঞ্চে এই প্রথমবার ভারত থেকে এলো সেরার শিরোপা।
শোলাপুরের পরিতেওয়াড়ি জেপি স্কুলের এই শিক্ষক নারী শিক্ষার প্রসার এবং কিউ-আর কোড ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন। রঞ্জিতের কথায় উঠে এসেছে যে শিক্ষকরাই পৃথিবীর "প্রকৃত পরিবর্তনকারী"। তিনি আরো বলেন শিক্ষকরাই চক এবং চ্যালেঞ্জ একসাথে হাতে রেখে প্রতিনিয়ত লড়ে চলছেন, এমনকি মহামারীর এই কঠিন পরিস্থিতিতেও শিক্ষাদানে বা তার অগ্রগতিতেও কোথাও ভাটা পড়েনি।
২০১৪ সাল থেকে ভার্কি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই গ্লোবাল টিচার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেই সমস্ত শিক্ষকদের যাঁরা তাঁদের ছাত্র ছাত্রীদের শেখানোর মারফত সমগ্র বিশ্বকে শিখিয়েছেন। রঞ্জিতের প্রাপ্ত প্রথম পুরস্কারের মূল্য ছিল ৭ কোটি টাকা যার ৫০ শতাংশ তিনি তাঁর সমোত্তীর্ণ ৯ জন ফাইনালিস্টদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। বেড়ে ওঠার প্রথম ধাপেই আছে দান ও একসাথে চলার মানসিকতা, এদিনও এমন শিক্ষাই দিয়ে গেলেন বিশ্ববাসীকে।