উত্তরপাড়া কোতরং পৌরসভার দ্বারা আয়োজিত "উন্নয়নের মেলবন্ধন" শীর্ষক অনুষ্ঠানের এ বছরের ভাবনা ছিল "ফিরে দেখা—ঐতিহ্যের উত্তরপাড়া"। যে প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে নেতাজি ভবনে ১১ই জুন থেকে ১৮ই জুন পর্যন্ত। শ্রী অমিত বল্লভের তত্ত্বাবধানে এই চিত্র প্রদর্শনী হয়ে উঠেছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
উত্তরপাড়া কোন কোন বিখ্যাত মণীষীদের পদধূলিতে ধন্য, ঋষি অরবিন্দের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান সহ জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরীর ইতিহাস, উত্তরপাড়া speech, মুক্তকেশি কালি মন্দির সহ একাধিক বিষয়ে সুচিন্তিত গবেষণা চোখে পড়ার মতো।তবে, এই প্রদর্শনীতে উত্তরপাড়া পৌরসভার ১৭০ বছর উদযাপনে প্রকৃত ইতিহাস উপেক্ষা করা হয়েছে। ঐতিহাসিক সত্য যে উত্তরপাড়া রত্নেশ্বর রায়চৌধুরী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা বহুলাংশে উপেক্ষিত।উত্তরপাড়া রত্নেশ্বর রায়চৌধুরী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের বংশধর যার কাছ থেকে ব্রিটিশরা সুতানটি, কালিকাতা, গোবিন্দপুর ইজারা নিয়েছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সৈন্যদের দ্বারা সৃষ্ট ঝামেলার কারণে তিনি হালিশহরে তার আসল জায়গিরদারির সাথে শেওরাফুলির জমিদারের থেকে এই জমিটি বিনিময় করেন। কিন্তু এই প্রকৃত ইতিহাস প্রদর্শনীতে ঠাঁই পায়নি।
এই বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা হলে, তত্ত্বাবধায়ক মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।বলেন, তিনি ইতিহাস অন্বেষণ করার জন্য খুব কম সময় পেয়েছেন। যদিও আমাদের কাছে এই উত্তর প্রত্যাশিত ছিল না একেবারেই। আজকের দিনে ইতিহাস বিকৃত করার সময়ে যেখানে গবেষণা সত্য ও সঠিক হওয়াই বাঞ্ছনীয়, সেখানে সর্বজনীন একটি প্রদর্শনীতে গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস উপেক্ষিত হয়ে প্রদর্শনীর ভাবনা ও প্রেক্ষিতকে সংকীর্ণ করেছে বলেই মনে হয়। উত্তরপাড়া সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার বেশ কিছু আপত্তি উত্থাপন করেছে এবং শীঘ্রই উত্তরপাড়া পৌরসভার সাংস্কৃতিক কমিটির কাছে বিষয়টি নিয়ে যাবে বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে।
উত্তরপাড়া জমিদার বাড়ির অন্দরমহল,দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়। বঙ্গীয় সাবর্ণ কথা,ভবানী রায় চৌধুরী। উত্তরপাড়া পাবলিক লাইব্রেরী আর্কাইভস।