বাসে যতগুলো সিট ততো জনই বসতে পারবে। সরকার কোনো এক সময় নিয়ম করেছিলো করোনা সংক্রমণ রুখতে। করোনা রুখতেই নাকি লোকাল ট্রেন চলছে না এখনও। পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? কি দরকার ওসবের? কিন্তু মিছিল চাই। মিটিং চাই। দূরত্ব বিধি লাগে না। করোনা হয়তো ভয় পায় পার্টির নেতাদের। আসেনা তাদের সামনে। নাকি ঝান্ডা কিংবা ডান্ডা ধরলে করোনা উল্টোদিকে ছোটে? যাই হোক। মিটিং মিছিল চাইই চাই। নইলে তো রক্ত ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আর ভোটের সামনে রক্ত ঠান্ডা হলে খুব বিপদ! চাঙ্গা রাখতে হবে সব্বাইকে।
আজ শহর একটা প্রহসন দেখলো। একদল লোক যেতে চাইছে নবান্নে একদল লোক আটকাচ্ছে। যারা যাচ্ছে তারা জনগণের প্রতি সরকারের অবিচারের অভিযোগ করছে। আর যারা আটকাচ্ছে তারাও জনগণের কথা ভেবেই আটকাচ্ছে। আর এদিকে বেচারা জনগন! তারা মাঝখানে পড়ে আছে। সারাদিন অফিস যাওয়া, ডাক্তারের কাছে যাওয়া সব ছেড়ে রাস্তায় কাটিয়ে দিলো। আমরা সবাই গণতন্ত্রের কথা আওড়াচ্ছি। কিন্তু মানবিকতার কথাটা ভুলে মেরে দিচ্ছি সহজেই। আচ্ছা কেন হাথরাস নিয়ে নীরব বিজেপি নেতারা? যেটা হয়েছে সেটা ঠিক? তাহলে প্রতিবাদ নেই কেনো? একই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে বা কেরলে হলে তো এতক্ষণে.... আসলে আমি শুধুই বিরোধীতা করবো। আজ মানছি প্রশাসন তৎপর হয়েছে। নইলে বড়ো কোনো ঘটনা হতো হয়তো। কিন্তু সাধারণের কথা ভেবে তাদের জন্য কি কিছু ব্যবস্থা ছিলো?
সন্ধ্যায় হাওড়া ময়দান দিয়ে ফেরার সময় বোঝার উপায় নেই এখানে সারা দুপুর খুব কিছু ঘটেছে। নবান্ন চত্বরও স্বাভাবিক। কিন্তু প্রায় প্রতি পাড়ার মোড়ের আড্ডায় কান পাতলে শোনাই যাচ্ছে, "যে যার নিজেরটা ভাবছে।" "মিছিল মিটিং করে এতো লোক জড়ো করা যায়? ট্রেন চালানো যায় না?" "এতো ভয় পায় যে সব রাস্তা বন্ধ করে দিতে হলো? কিছু বাইপাস রাখলে রাস্তায় ভুগতে হতো না।" কিছুই না। একটা দিন কাটলো, আর মানুষের আরেকটু ভরসা কমলো পার্টি রাজনীতির প্রতি।