শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের টাকা দিতে পারেনি, তাই আত্মীয়দের দিয়ে নিজের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করাল গুণধর স্বামী। এমনকী সেই গণধর্ষণের ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম এবং ইউটিউবে আপলোড করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি রাজস্থানের ভরতপুরের। সূত্রের খবর, গত ২০১৯ এই দম্পতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের জন্য নির্যাতিতাকে পাশবিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি বাপের বাড়ি চলে যায়। বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর স্বামী নিজে গিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনে। এর ভেতর স্বামীর যে কী অভিসন্ধি ছিল সে বুঝতে পারেনি।
এরপর শুরু হয় আসল খেলা। শ্বশুরবাড়ি ফিরতেই মেয়েটির উপর পণের দাবিতে ফের অত্যাচার শুরু হয়। এরপর স্বামীর হুমকি পণের টাকা দিতে না পারলে তার গণধর্ষণ করিয়ে সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে টাকা আদায় করে নেবে। সেই নির্যাতিতার বক্তব্য, "আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে যৌতুক নিয়ে হয়রানি করত। যৌতুক না দেওয়ায় তাদের আত্মীয়রা আমাকে গণধর্ষণ করে। ঘটনাটি ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করে দেয়। অভিযুক্তদের একজন পাঁচ দিন আগে আমাকে ধর্ষন করেছে। এর পর আমি কোনভাবে সেখান থেকে পালিয়ে আমার বাড়িতে এসেছি।"
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পণপ্রথা দণ্ডনীয় অপরাধ। এত প্রচার, আলোচনার পরেও দেশে তা আটকানো সম্ভব হয়নি। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে আজও এই প্রথার প্রকোপ উঠে যায়নি। কিন্তু পণ দিতে না পারায় নিজের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করিয়ে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এই দুষ্কৃতীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।