বাড়ির ছোট্ট মেয়ে, খুব ছটফটে। মা-বাবার খুব আদরের। একদম কাছ ছাড়া করেন না তাঁরা। কিন্তু খাবার খেতে গিয়ে গলায় আটকে চোখের সামনে ছোট্ট মেয়ের মৃত্যু দেখতে হবে, মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা। মেয়ের শেষকৃত্যের পর নিজেদের শেষ করে দিলেন তাঁরা। ১৮ মাসের মেয়ের মৃত্যুর পর শোকের ধাক্কায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, এমনটাই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার। এখানকার আটপড়ীতে শনিবার এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে খাবার খাওয়ার সময় গলায় আটকে শিশুকন্যাটির মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর থেকে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন বাবা-মা করণ হেঙ্গড়ে এবং শীতল হেঙ্গড়ে। নিজেদের চোখের সামনে শিশুকন্যাটির মৃত্যুর ঘটনায় শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
ঘটনার পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁরা। চোখের সামনে নিজেদের শিশুকন্যার মৃত্যু কোন্ বাবা-মা সহ্য করতে পারেন! পাড়ার লোকজনদের সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে প্রায় গৃহবন্দি করে ফেলেছিলেন তাঁরা। আর শনিবার দেখা যায়, গ্রামে এক মন্দিরের পাশে একই দড়িতে দু'জনের ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য মানসিক যন্ত্রণাই দায়ী। মৃতদেহের পাশ থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে মৃত্যুর কারণ দেখে আত্মহত্যাই মনে করছে অধিকাংশ মানুষ। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।