রাজনীতির ময়দান থেকেই পরিচয়। তখনও তাঁরা দলের সাধারণ কর্মী। তখনও এতবড় গুরুদায়িত্ব পাননি। সেই থেকেই উভয়ের মধ্যে ভালো লাগা থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক। বর্তমানে উভয়ের বদলেছে রাজনৈতিক পরিধি। একজন গোটা দেশের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠা মেয়র, অপরজন সর্বকনিষ্ঠ এমএলএ। এবার চার হাত এক করলেন। রাজনীতির ময়দানে ছিলেন সহযোদ্ধা এবং নিজেদের সাংসারিক জীবনেও হয়ে উঠলেন পরস্পরের শরিক।
কেরলের তিরুবনন্তপুরমের মেয়র আর্যা রাজেন্দ্রন (Arya Rajendran)। তিনি দেশের সর্বকনিষ্ঠা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সিপিএম শাসিত কেরলে এ তো নজিরবিহীন ঘটনা। কেবল কেরল নয়, গোটা দেশে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। অপরদিকে বালুসেরির বিধায়ক কে এম শচীন দেব। দু'জনের মধ্যে রাজনীতির ময়দান থেকে আলাপ। তিনি দেশের কনিষ্ঠ বিধায়কদের একজন। অবশেষে আবদ্ধ হলেন পরিণয় সূত্রে।
পরিবারের সদস্য এবং সিপিআই(এম) নেতাদের উপস্থিতিতে এই দম্পতি লাল মালা বিনিময় করেন। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পোস্ট করা বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে তাঁরা অতিথিদের কোনো উপহার না আনতে অনুরোধ করেছিলেন। যাঁরা এটি করতে চান তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল বা কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত বৃদ্ধাশ্রমে সাহায্য করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন এই নবদম্পতি।
আর্যা রাজেন্দ্রন একজন সক্রিয় সিপিএম সদস্যের কন্যা। ১০ বছর বয়সে তিনি শিশুদের সংগঠন যোগ দিয়েছিলেন। ছোট থেকেই রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ। বালাসংঘাম-এ যোগদানের পর তিনি পার্টির কার্যকলাপের অংশ হয়েছিলেন। পরে, তিনি বালাসংঘমের রাজ্য সভাপতি এবং এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্য হন। ২০২০ সালে, ২১ বছর বয়সে, দল তাঁকে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনের মেয়র হিসাবে বেছে নিয়েছিল। তিনি দেশের সর্বকনিষ্ঠা মেয়র হিসেবে মানুষের কাজ করছেন। সেই সময় তিনি অল সেন্টস কলেজে বিএসসি পড়ছিলেন।
অন্যদিকে, শচীন দেব, যিনি সরকারি আর্ট কলেজ, কোঝিকোড় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং সরকারি আইন কলেজ, কোঝিকোড় থেকে আইনে স্নাতক করেছেন। তিনি এসএফআই-এর বর্তমান জাতীয় যুগ্ম সম্পাদক। গত বছর অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বালুসেরি আসন থেকে জয়ী হন। তাঁরা দু'জনেই একে অপরকে তাঁদের বালসংঘমের দিন থেকেই চেনেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে আর্যা রাজেন্দ্রন শচীন দেবের পক্ষে প্রচার করেছিলেন। গোটা অনুষ্ঠানে ছিল তারার মেলা। উপস্থিত ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী-সহ সিপিএমের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।