গুজরাট অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সদস্যরা অতীতে ভারত থেকে গবাদি পশু রপ্তানির প্রসঙ্গ উত্থাপিত করেছিল। এবার ফ্লাইটে আমিষ খাবার পরিবেশন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বোর্ডের সদস্য সহ কিছু জৈন সম্প্রদায়ের নেতাবর্গ পরিবহনমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন, যাতে সমস্ত এয়ারলাইন্সকে আমিষ খাবার পরিবেশন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বোর্ড সদস্য রাজেন্দ্র শাহ পরিবহনমন্ত্রীকে চিঠিতে লেখেন, "এই অনুরোধটি নিরামিষাশী যাত্রীদের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে যাদের অনুভূতি ক্ষুব্ধ হয় ফ্লাইটে আমিষ খাবার পরিবেশনের সময়। কঠোরভাবে নিরামিষভোজী যাত্রীদের যখন নিরামিষ খাবারের পরিবর্তে আমিষ খাবার পরিবেশন করা হয় তখন তাঁরা অনেক বেশি বিরক্ত বোধ করেন।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি টোকিও-দিল্লির একটি ফ্লাইটে ভুলবশত একজন খাঁটি নিরামিষ যাত্রীকে আমিষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল, আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই রাজেন্দ্র শাহ চিঠিটি লিখেছেন। এই প্রসঙ্গে রাজেন্দ্র বলেন, "আমার এই ভ্রমণকারীর সাথে কথা হয়েছিল, যিনি মাছ-মাংস তো দূর এমনকি পেঁয়াজ, রসুন এবং আলুও খায় না। তার বাবা-মাও ভয়ঙ্করভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন, তাই আমি সরকারকে আমিষ খাবার পরিবেশন বন্ধ করার আর্জি জানাচ্ছি।"
ভারতীয় পশু কল্যাণ বোর্ডের আরেক সদস্য মিত্তাল খেতানি বলছেন, "এটি ভেজ এবং নন-ভেজ খাবারের বিষয় নয়, স্বাস্থ্যবিধিরও বিষয়। আমিষজাতীয় খাবারের মান নিয়ে সবসময়ই সন্দেহ থাকে। ফ্লাইটে, অনেকের মনে হয় আমিষ খাবার হজম করা কঠিন, তাই শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করাই ভালো।" অন্যদিকে, রাজকোটের বর্ধমান নগর জৈন ডেরাসারের ট্রাস্টি প্রকাশ শাহ বলেন, "আমরা বিশেষ কিছু শাকসবজিও খাই না যেখানে পোকামাকড় থাকে, তাই কেউ কল্পনাও করতে পারে না যে কেউ আমাদের পাশে বসে আমিষ খাবার খেলে আমরা কেমন বিরক্ত বোধ করি। আমরা চাই সরকার ফ্লাইটে আমিষ জাতীয় খাদ্য নীতি বর্জন করুক।"