কিছুদিন আগেই ভারতীয় মহিলাদের বিয়ের (marriage age for women) বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার বিল মন্ত্রীসভায় পাশ করেছিল কেন্দ্র (central Governement)। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছিল নানান রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সমাজকর্মীদের মধ্যে। কেউ কেউ সরকারী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও সিপিএম (CPM), কংগ্রেস(Congress)-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল। অতঃপর নিজেদের সিদ্ধান্তে পিছু হটল সরকার। সূত্রের খবর, নতুন এই আইনকে কার্যকর করার জন্য ‘ধীরে চলো’ নীতিরই আশ্রয় নিতে চলেছে কেন্দ্র। সাংসদদের (MP) একটি প্যানেল বসিয়েও সিদ্ধান্তটির পর্যালোচনা করতে পারে সরকার, এমনটাই জানা গিয়েছে সুত্র মারফত।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীমণ্ডলের এক অভিজ্ঞ মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিরোধী দলের সাংসদদের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই বিলটির ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার। উল্লেখ্য, কেবলমাত্র কংগ্রেস বা সিপিএমই নয়, বিলটির বিরোধিতা করেছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) বা ওয়াইসির মিম’এর (AIMIM) মতো আঞ্চলিক দলগুলিও। তবে যেহেতু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার আর চার দিনই মাত্র বাকি রয়েছে, তাই এই অধিবেশনে বিল সংক্রান্ত পর্যালোচনার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
গত সপ্তাহে ‘প্রহিবিশন অফ চাইল্ড ম্যারেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১’-এর (Prohibition of Child Marriage (Amendment) Bill, 2021) মাধ্যমে মহিলাদের বিবাহের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব পাশ করেছিল নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) মন্ত্রীসভা। আর তার পরেই কংগ্রেসের তরফ থেকে দাবী করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা প্রস্তাবিত এই বিল অত্যন্ত সন্দেহজনক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে বিলটির পর্যালোচনার জন্যও দাবী জানায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের সুরে সুর মেলায় সিপিএমও। বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে উঠতে অবশেষে এহেন সিদ্ধান্ত সরকারের। উল্লেখ্য, এর আগে শেষবারের জন্য মেয়েদের বিবাহের বয়স বেড়েছিল ১৯৭৮ সালে। তখন মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৫ থেকে বাড়িয়ে ১৮ বছর করা হয়।