আপনি কি মনে করছেন ব্যবসা করে আবারো নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাবেন? কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না কোন জিনিসে ব্যবসা করলে আপনার সবথেকে বেশি লাভ হবে? তাহলে আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি এমন একটি ব্যবসার সুলুক সন্ধান, যেটি আপনাকে একাধারে লাভ দেবে, পাশাপাশি এই ব্যবসার চাহিদা কখনোই কমবে না দেশীয় এবং বিদেশি মার্কেটে। তাই যদি আপনি নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করতে চান তাহলে চটজলদি খুলে ফেলতে পারেন সবজির রাজা আলুর ব্যবসা। সবথেকে লাভবান ব্যবসাগুলির মধ্যে একটি হলো আলুর ব্যবসা। এই ব্যবসায় যেমন আপনারা প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারবেন, তেমনি এই ব্যবসার কোন শেষের মেয়াদ নেই। অর্থাৎ আপনি যতদিন চান এই আলুর ব্যবসা করতে পারেন। আলুর ফার্মিং করে সেই আলু বিক্রি করে আপনারা বেশ ভালো টাকা রোজগার করতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে। পাশাপাশি এই আলুর ব্যবসা করে তেমন কিছু ক্ষতি আপনার হবে না। যারা সাধারণত আলু চাষ করে তাদের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণটা বেশ নগণ্য হয়। ঠিক এই কারণেই নতুন প্রজন্মের কাছে পটেটো ফার্মিং বেশ আকর্ষণীয় একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন পাইলট প্রজেক্ট চালু করছে রাজ্য সরকার
তালিকায় রয়েছে ইয়েস ব্যাংক সহ আরো বেশ কয়েকটি ব্যাংক
সন্তান আগমনের পরে প্রথম ছবি পোস্ট নুসরতের
বর্তমানে বিহারের মধুবনী জেলার একজন চাষী অশোক কুমার নতুন পদ্ধতিতে আলু চাষ করা শুরু করেছেন। তিনি বছরে এই আলু চাষ করে ২৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারছেন। চাষের জন্য তিনি খরচ করছেন ২৫ লক্ষ টাকা এবং আলু বিক্রি করে তিনি টাকা পাচ্ছেন ৫০ লক্ষ টাকা। সেই হিসেবে, তার লাভ এর অংক গিয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রতি বছরে ২৫ লক্ষ টাকায়। তবে আলু চাষের জন্য সবথেকে বড় যে বিষয়টি হল সেটা হল জমি নির্বাচন করা। যে কোন জমিতে আলু চাষ করা যায় না। আপনাকে আলু চাষ করতে হলে এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে বৃষ্টি হলে জল দাঁড়ায় না। এবারে কোন একটি বিশ্বস্ত দোকান থেকে আলু বীজ ক্রয় করে সেটাকে আপনাকে মাটিতে রোপণ করতে হবে।
যদি বীজ খারাপ হয় তাহলে আপনার সমস্ত আয়োজন বৃথা হয়ে যাবে। তাই যখন আপনি বীজ ক্রয় করবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই একটি বিশ্বস্ত দোকান থেকে বীজ ক্রয় করবেন আপনি। এছাড়াও সময়মতো কীটনাশক এবং বেশকিছু সার প্রয়োগ করতে হবে আপনাকে আলু গাছে। দেখা যায়, মোটামুটি ১ বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ কুইন্টাল আলু চাষ করা যায়। প্রত্যেকটি বীজের মধ্যে দূরত্ব থাকে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার। যদি এর থেকে কম দূরত্বে বীজ রোপন করা হয় তাহলে কিন্তু আলু খুবই ছোট থেকে যাবে।
আলু চাষ যদি আপনি করেন তাহলে আপনাকে বীজ রোপন করার আগে ইউরিয়া এবং টিএসপি জাতীয় সার প্রয়োগ করতে হবে। বীজ রোপন করার ঠিক আগের দিন পটাশ এবং গোবর সার একসাথে মিশিয়ে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। জমিতে যদি দোআঁশ মাটি থাকে তাহলে খুব ভালো হয়। তারপরে যদি এরকম সার প্রয়োগ করা হয় তাহলে আপনার জমি খুব ভালো তৈরি হবে এবং আপনি লাভের অংক দেখতে পাবেন।
সবশেষে আসা যাক, আলু বিক্রি কি করে করবেন সেই বিষয় নিয়ে। যদি আপনি আলু বিক্রি করতে চান তাহলে আপনাকে সবজি মান্ডিতে যেতে হবে এবং সেখানে আপনি আলু বিক্রি করে বেশ ভালো টাকা আয় করতে পারেন। তবে কখনোই কোনো ফোড়ে বা মিডিল ম্যানের চক্করে পড়বেন না, তাহলে আপনি নিজের সাধের জিনিসের ভালো দাম পাবেন না। এছাড়াও এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা আলু ট্রেডিং করে। এই সমস্ত কোম্পানি বা ম্যানুফ্যাকচারারদের আপনি potatopro.com ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যদি আপনি নিজের চাষ করা আলু বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি বেশ ভালো পরিমাণ টাকা রোজগার করতে পারবেন এই চাষ করে।