গত সেপ্টেম্বরে পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি-র আদায় বেড়েছে অনেকখানি। অর্থ মন্ত্রকের হিসাবে এর পরিমাণ ৯৫ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। জিএসটি আদায় শুধু যে গত আগস্টের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে তাই নয়, এমনকি গত বছরের এই সময়ে জিএসটির পরিমাণ যা ছিল, তার তুলনায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ এমনিতেই দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এপ্রিল থেকে আগস্টে রাজস্ব ঘাটতি পৌঁছেছে ১০৯.৩ শতাংশে। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের মুখের হাসি যখন প্রায় নিভে যেতে বসেছে, তখন জিএসটি আদায় বাড়ায় একটু হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা।
কি করে বাড়লো জিএসটি-র পরিমাণ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পণ্য ও পরিষেবা আমদানিসহ দেশীয় লেনদেন থেকে বেশি কর আদায় হওয়ায় এটা হয়েছে। ফলে খুশি শিল্পমহল। তাদের মতে, এ আসলে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ। তাঁদের আশা, সামনে উৎসবের দিনগুলিতে কেনাকাটা বাড়বে মানুষজনের। সুতরাং দ্রুতগতিতে ঘুরবে অর্থনীতির চাকা। তাছাড়া, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার বেড়েছে মারুতি সুজুকি সহ মোটরগাড়ির পাইকারি কেনাবেচা। এতেও আশার আলো দেখছেন অনেকে।
করোনা
Sources: wbhealth.gov.in. Modified data from: api.covid19india.org (license) with WB district name translations.
গত কয়েক বছর ধরেই দেশের অর্থনীতিতে মন্দার কালো ছায়া। করোনা অতিমারি সেই ছায়া আরও গাঢ় করেছে। জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ও গাড়ি কেনাবেচা বৃদ্ধি সেই কালো মেঘের আড়ালে রুপোলি রেখা। ভবিষ্যতে অর্থনীতির চাকা কেমন গতিতে ঘোরে সময়ই বলবে সে কথা।